হটস্পট ধরে লক ডাউনের চিন্তা সরকারের

সীতাকুন্ড বার্তা

দেশে করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তারে বিশ্বের শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ঢুকে পড়ার পর রাজধানীকে দিয়ে শুরু করে সংক্রমণের কেন্দ্র বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পথে যাচ্ছে সরকার।  ইতোমধ্যে কক্সবাজারকে রেড জোন করে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে স্থানীয় প্রশাসন।  আগামি ২০ জুন পর্যন্ত সেখানে লকডাউন কার্যকর থাকবে।  ইতোমধ্যে পুরো পৌরসভা এলাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  দুয়েকদিনের মধ্যে ঢাকার কিছু এলাকায় ‘পাইলট ভিত্তিতে’ লকডাউন শুরু করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কোভিড-১৯ বিষয়ক মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, ‌‘হটস্পট বা ক্লাস্টার এরিয়া বিবেচনায় শুরুতে আমরা পাড়া, মহল্লা বা ওয়ার্ড এলাকা লকডাউন করবো।  শুরুতে সীমিত পরিসরে ঢাকার মধ্যেই লকডাউন করব।  কারণ ঢাকাতেই কোভিড-১৯ এর রোগী বেশি।  পরে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্যান্য জেলা শহরেও লকডাউনের পথে হাঁটব’।
মহামারির বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যুর হারের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন হিসাবে দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে করণীয় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা আইসিটি বিভাগের সহায়তায় কোন কোন এলাকা লকডাউন করবো, তার ম্যাপিং শুরু করেছি।  এতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যোগ দিয়েছেন।  পুরো কাজটি শেষ হয়নি।  শেষ হলেই আগামি দুয়েকদিনের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করছি’।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমন বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন এলাকা লাল বা হলুদ জোনে ভাগ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বড় এলাকা না ধরে ক্ষুদ্র পরিসরে লকডাউন করতে চায়।  হাবিবুর বলেন, ‘যেসব এলাকায় রোগী বেশি সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ বলে ঘোষণা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া হবে।  একই পদ্ধতিতে ইয়েলো ও গ্রিন জোন চিহ্নিত করা হবে।  এ ক্ষেত্রে ইয়েলো জোনে কেউ খুব জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে চাইলে সেই সুযোগ দেওয়া হবে’।
করোনা ভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ধারণা, আগামি এক সপ্তাহে বাংলাদেশ সংক্রমণের এই গ্রাফ আরও উর্ধ্বমুখী হবে।

সূত্র দৈনিক চট্টগ্রাম

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *