আগামী মাস থেকে ডিজিটাল হচ্ছে বিমান টিকিটিং : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ডিজিটালাইজড হচ্ছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বলাকা ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিটিং, রিজারভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক-ইন সবকিছু অনলাইনে হবে। এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর সবদেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম।

তিনি বলেন, বেহাল দশা কাটিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ফলে টিকিট পেতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না যাত্রীদের। তবে যাত্রী পরিবহন সেবা আরও উন্নত করার পাশাপাশি উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে বাড়াতে হবে স্বক্ষমতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যতবার দেশের বাইরে গিয়েছি, সবসময় আমার একটা লক্ষ্য ছিল যে, আমাদের নিজেদের বিমান ব্যবহার করব। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে তখন বিমানের কী বিধ্বস্ত অবস্থা ছিল। ৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন উদ্যোগ নেই। যদিও তখন আর্থিকভাবে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, তার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উন্নয়নে আরো কিছু উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হোক। আমাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো আরও চালু হোক, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। মাত্র পাঁচ বছর হাতে সময় সেভাবে কাজ করে যেতে পারিনি। তবুও আমরা কাজ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়বার আমি যখন সরকারে আসি ২০০৮ নির্বাচনে জয়ী হয়ে, ২০০৯-এ আমরা লক্ষ্য করি বাংলাদেশ বিমান নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস, প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মুম্বাই, নারিতা এবং ইয়াঙ্গুন রুটে যে ফ্লাইট চলাচল করতো সেগুলো সব লোকসান দেয় এবং একে একে সব বন্ধই করে দিতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই যে জরাজীর্ণ একটা বিমান, এমনকি একটা গানও শোনা যেত না, যদি আমি জানলার সিটে বসতাম তখন তো ঝরঝর করে পানি পড়ত। কোনোমতে কাপড় দিয়ে সে পানি বন্ধ করা হত। এমনই আমাদের বিমানের দুর্দশা ছিল। বরং আমি আমাদের পাইলটদের সবসময় ধন্যবাদ জানাতাম যে এ ধরনের অবস্থায় সাহস করে তারা যে বিমান চালাচ্ছে এটাই একটা বড় জিনিস ছিল।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *