সীতাকুন্ড বার্তা প্রতিনিধি
মুনাফা লোভী কিছু বিক্রেতাদের কারনে ক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়ে চলেছে।প্রতি বছর পবিত্র মাহে রমজান মাস আসলেই কিছু দোকানদার মালামাল মজুদ করে রাখেন গুদামে।যাতে চড়া দামে বিক্রি করে দিগুন লাভ করা যায়।একদিকে সংরক্ষণ অন্যদিকে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।এই করোনা পরিস্থিতিতেও বিক্রেতাদের এমন লোভী স্বার্থান্বেষী আচরণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনতার। সেই ধারাবাহিকতায়
সীতাকুণ্ডে পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং করা হয়।
মঙ্গলবার ৫ মে দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবু বকর সিদ্দিক উপজেলার বার আউলিয়া, মাদাম বিবির হাট, ভাটিয়ারী বাজারে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এসময় বিভিন্ন মুদির দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ রাখার অপরাধে মোট সাতটি (০৭) মামলায় সাতজন দোকানীকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
তাৎক্ষণিক জরিমানায় দোষীদের আটচল্লিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এসময় যথাক্রমে শীতলপুরের বগুলাবাজার ফারুক ষ্টোরকে ২০ হাজার,শীতলপুর ভাই ভাই ষ্টোরকে ৫ হাজার,বার আউলিয়া ষ্টোরকে ৫ হাজার, মাদামবিবিরহাট বিসমিল্লাহ্ ষ্টোরকে ৫ হাজার, মাদামবিবিরহাট জসিম ষ্টোরকে ৫ হাজার, ভাটিয়ারী সিদ্দিক ষ্টোরকে ৩ হাজার এবং ভাটিয়ারী সুমি ষ্টোরকে ৫ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়। এছাড়া পাইকারি মুদির দোকান গুলোকে আগামী কালের মধ্যে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়
এ সময় সেনাবাহিনীর টহল দল ও পুলিশ প্রসাশন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকি বলেন, প্রাইকারি মুদির দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য রাখা এবং বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয় রশিদ না রাখায়সহ মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। উপযুক্ত অপরাধের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরকণ আইন, ২০০৯ ধারায় উক্ত অভিযান নিয়মিত চলবে।