সীতাকুন্ড প্রতিনিধি
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সীতাকুণ্ড বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানান্তর করে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার নেয়া হয়েছে সীতাকুণ্ড হাইস্কুল মাঠে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মূলত এই হাট শুরু হয় গত ১৩ এপ্রিল সোমবার । উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে কভিড১৯ প্রতিরোধ করা যায়। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে আসা ক্রেতাদের ভীড় যাতে না জমায় সে জন্য। কিন্তু ঘটলো বিপরীত ঘটনা , পুলিশের উপস্থিতি যতক্ষণ ততক্ষণ কোন ভীড় জমায় না। পুলিশ প্রশাসন না থাকলে সীতাকুণ্ড হাইস্কুল মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলছে ক্রেতাদের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কেনা। অস্থায়ী এই দোকানে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ক্রেতাদের ভিড় । ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ফেসবুক মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এছাড়াও সীতাকুণ্ডে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার কয়েকটি গ্রামে সন্ধ্যায় আড্ডা দেয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে । সীতাকুন্ড পৌরসভার দক্ষিণ ইদিলপুর ও উত্তর ইদিল পুর গ্রামে সন্ধ্যায় ১৫/২০ জন চায়ের দোকানের সামনে আড্ডা চলছে।নেই সামাজিক দূরত্ব নেই মাস্ক । নিজেরা অসচেতন একঘেয়েমি চললেও নিজেদের সচেতন ব্যক্তি হিসেবে দাবি করেন তারা। এছাড়া সীতাকুণ্ড ৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়া খালী গ্রাম ও মধ্যম ভাটের খীল গ্রামে করোনা প্রতিরোধে কোন সরকারী বিধি নিষেধ মানা হচ্ছে না । সন্ধ্যা হলেই চলে কৌশলে চায়ের কাপে ঝড় । এছাড়াও এই উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে স্বেচ্ছায় লক ডাউন গেলেও আদতে তারা অসচেতনভাবে চলাফেরা করছে । যদিও অতি উৎসাহী না হয়ে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়া গ্রাম লক ডাউন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু গ্রামে লক ডাউনের নামে অলিতে গলিতে ঢুকে গাঁজা ,মদ ও ইয়াবা কারবারি চালাচ্ছে নীরবে নিভৃতে। দেশের এই ক্রান্তিকালে একদিকে যেমন ইয়াবাকারবারী সক্রিয় তেমনি স্বেচ্ছায় লক ডাউনের নামে চলছে অনৈতিক কার্যকলাপ।
সীতাকুন্ড বার্তা প্রতিবেদক পর্যবেক্ষণে গেলে দেখা যায় , আদৌ কেউ মানছেনা সামাজিক দূরত্ব । বিকাল পাঁচটায় সীতাকুণ্ডে সব দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হলেও মানছেনা কিছু অসতর্ক ব্যাক্তি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন , সন্ধ্যা হলেই সীতাকুণ্ড দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামে রাস্তায় চলছে গণজমায়েত আড্ডা । বিকাল পাঁচটায় দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা এলেও সেই নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না এই সব দোকানীরা।তাই আমরা সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করছি