রমজানকে সামনে রেখে চালের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব একথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, চালের দাম বাড়বে না। কারণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। মার্চ মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে। চালের দাম বাড়বে না ওই সময়।’
তিনি বলেন, যদি দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখি, তাহলে ওএমএস আরও বাড়ানো হবে। খাদ্যের ব্যাপারে তো সরকারের কার্পণ্য নেই। খোলা বাজারে বিক্রিটা আরও বাড়াবো। যদি প্রয়োজন হয় ভোক্তার স্বার্থে সরকার চাল আমদানি করবে।
চালের দাম বাড়বে না বলতে মোটা চালকে বোঝাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোক্তার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সরু চাল আমদানি করা হবে। তবে এখনই আমদানিতে যাচ্ছি না। কারণ কে বা কারা প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে, দেশে এতো খাদ্য উদ্বৃত্তের কথা বলা হচ্ছে তারপরও আমদানি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক খাদ্য সংস্থা (ইউএসডি) বলেছে, আমাদের উৎপাদন ভালো, তারপরও আমদানি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমদানি না করে যদি আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারি তাহলে এটা প্রমাণ করতে পারলাম যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের বর্তমানে ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুদ রয়েছে। মিলাররা আমাদের কাছে চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার মানে মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। নতুন ধান আসলে আমরো কমে যাবে। আর সরু চাল শুধু বোরো মৌসুমে আবাদ হয়। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি বোরো চাল বাজারে চলে আসবে। ফলে চালের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয় রোজার মাসে ও এর আগে থেকে একটি প্রোগ্রাম শুরু করবে। গত বছর সরকার ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছিল সেটা এবছর এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। সরকার চাচ্ছে নিম্ন আয় বা দরিদ্রদের কোনোভাবে যাতে সমস্যা না হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মোট ১৯ লাখ ৬৩ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ লাখ ১৫ হাজার টনের বেশি চাল ও গম ২ লাখ ৪৮ হাজার টন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মোটা চালের দাম বেড়েছে ১ টাকা, সরু চাল ৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং আটা প্যাকেট ৮ টাকা, খোলা ৩ টাকা ৫০ পয়সা দাম বেড়েছে।