দেশে করোনার টিকা না নেয়া ব্যক্তিদেরই মৃত্যুহার বেশি। জানুয়ারিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৭৫ ভাগই টিকা নেননি। আবার টিকা নিয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে একটা বড় অংশ দীর্ঘ মেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি, সবাই টিকার আওতায় আসলে করোনায় মৃত্যু আরো কমবে।
আবারো বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। গত ডিসেম্বরে ৯১ জন মারা গেলেও জানুয়ারির চার সপ্তাহে তা ২৮৬। এক সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারির চার সপ্তাহে করোনায় মৃত ২৮৬ জনের মধ্যে ২১২ জন বা ৭৫ ভাগ মানুষ টিকা নেয়নি। তৃতীয় সপ্তাহে এই হার ৬৪ থাকলেও, চতুর্থ সপ্তাহে তা ১৩ ভাগ বেড়ে হয়েছে ৭৭ ।
চিকিৎসকরা বলছেন, টিকা নিয়ে অনেকে আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুহার কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেছেন, সমগ্র বিশ্ব জুড়েই এটি প্রমাণিত যে টিকা নিলে করোনাক্রান্ত হলেও মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই কম।
দেশে এখনো টিকার বাইরে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। টিকার হার বাড়াতে এখন বারো বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেয়া হচ্ছে। আগামি দুই মাসের মধ্যে টিকার লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হলে করোনায় মৃত্যু আরো কমবে বলে আশা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
অধ্যাপক আহমেদুল কবীর আরো জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে টিকাগ্রহনকারীর সংখ্যা ৩ কোটি। টিকাকার্যক্রম এভাবে চলতে থাকলে এ বছরের এপ্রিলেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশাবাদী তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, করোনায় মৃতদের ৬৫ ভাগই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, বক্ষব্যাধি, হৃদরোগসহ দীর্ঘ মেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন