সড়কের জন্য নিজের বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে দিলেন মেয়র বদিউল আলম

নিজ বাড়ির দেয়াল ভেঙে জন চলাচলের জায়গা করে দিয়ে প্রসংশীত হলেন সীতাকুন্ডের পৌর মেয়র। পৌরসভার শিবপুর-ইদিলপুর সড়কের পূননির্মান কাজের প্রতিবন্ধকতা দুর করতে এমনি একটি মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তাঁর এই সাড়া জাগানো মহতি উদ্যোগে ব্যাপক প্রসংশা করেছেন স্থানীয়রা।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলছে বহুদিনের অবহেলিত শিবপুর-ইদিলপুর সড়কের পূননির্মান কাজ। জনগনের বহু বছরের জনকাঙ্খিার প্রতিফলন ঘটিয়ে শতভাগ ভাগ কাজের রয়েছে শেষ পর্যায়ে। প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাস্তার গাইড ওয়াল, লেভেল প্লেয়িংসহ শেষে পূনাঙ্গ  নির্মানাধীন কাজ শেষ করতে সময় লাগবে আর মাত্র কয়েকদিন। আর এ নির্মানাধীন সড়কের কাজকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন পৌর মেয়র। সর্বশেষে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে আঁকা-বাঁকা সড়কের প্রতিবন্ধকতা দুর করতে ভেঙে দিয়েছে রাস্তার পাশ ঘেষে থাকা নিজ বাড়ির দেয়াল। তাঁর এ ধরনের একটি মহতি কর্মকে অন্যন্য পৌরসভার জন্য নজির দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। সে সাথে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়ে সাড়া ফেলেছেন সর্বত্র।

ইদিলপুর-শিবপুর রাস্তায় চলাচলরত স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,‘ যত পৌর প্রশাসক এসেছেন সবাই শুধু চেয়ারে বসে আখের গুছিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দুর্ভোগ হতে বাঁচতে একজন সৎ যোগ্য লোককে বসাতে হয়েছে যোগ্য চেয়ারে। তাই বহু বছর ধরে অন্ধকারে পড়ে গ্রাম পেয়েছে আলোর মুখ। এ ধরনের যোগ্য লোকরা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হলে সর্বস্তরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগে এগিয়ে যাবে দেশ। ক্ষমতায় থাকলে সবাই দখল করতে চাই। অথচ একমাত্র বর্তমান মেয়রই জনগনের কথা চিন্তা করে নিজ বাড়ির দেয়া ভেঙে দিয়ে চলাচলের পথকে সুগম করেছেন।’ যা বাংলাদেশের অন্যন্য মেয়রদের জন্য কাছে একটি নজির হয়ে থাকবে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র বলেন,‘ জনগনের জন্যে কিছু করতে পারা ভাগ্যর ব্যাপর। ক্ষমতা আল্লারদান, সেই ক্ষমতাকে যথাযথ ব্যবহার করলে পরকালে শান্তি পাওয়া যাবে। সব সময় চাই জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে জনস্বার্থে কাজ করে যেতে। তাই রাস্তার সুন্দর্য রক্ষায় দেয়াল ভেঙে জনস্বার্থে দিয়ে দিয়েছে বাড়ির জায়গা। এতো কষ্ট ও ত্যাগ দেয়ার পরও কিছু দুষ্ট চরিত্রের লোক লেগে থাকে পেছনে। কিন্তু সততা থাকলে সকল বাঁধাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *