সীতাকুন্ডে ঐতিহ্যবাহী মোহন্তের হাট জমজমাট: ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড় হলেও বিক্রি কম

জয়নাল আবেদীনঃমুসলমান জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। প্রতি বছর উৎসবের এই দিনটিতে গরুর হাটগুলোতে থাকে প্রচন্ড ভীড় ও হরদম কেনাবেচা। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ঐতিহ্যবাহী সীতাকুণ্ডের মোহন্তের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় হলেও হয়নি তেমন কেনাবেচা।

ক্রেতাদের ভীড়ে পুরনো রুপ ধারণ করেছে সীতাকুন্ডের এই ঐতিহ্যবাহী হাটে

আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রামের উপশহর সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী মোহন্তর হাট ক্রেতাদের ভীড়ে জমে উঠে পুরাে মাঠজুড়ে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মোহন্তের হাটে প্রথম হাট বসলেও উঠেনি গরু।
কিন্তুু ২য় হাটে ক্রেতাদের প্রচুর ভীড় চোখে দেখারই মত অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে ঐতিহ্যবাহী এই হাটে।

প্রথম হাটে ২৫/৩০টি গরু হাটে থাকলেও ক্রেতা বিক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি ছিলোনা। অনলাইনে গরু, ছাগল বেচাকেনা ও গ্রামে , গ্রামে গরু বিক্রি হওয়ার কারণে প্রথমদিকে নাকাল ছিলো ইজারাদার কতৃপক্ষ। কিন্তু ২য় গরুর হাট সেই চিরচেনা রুপে ফিরে এসেছে। মূহুর্তের মোহন্তর হাট এবং অন্যান্য হাটগুলো অন্য বেশ ধারণ করেছে।

এছাড়াও সীতাকুণ্ডের বড় দারোগার হাট, বাড়বকুণ্ড, শেখের হাট সহ বিভিন্ন পশুর হাট দেখলে লক্ষ্য করা যায় ক্রেতারা মনোবাসনা পূরণে পছন্দের পশু কিনতে গরুর হাটে এসেছেন।ক্রেতা বিক্রেতাদের দর কষাকষি, হৈচৈ, হাসিলের জন্য মাইকিং করে জানান দেয়া এই যেন করোনা পূর্ব দৃশ্য।বাবা , ভাই ও আত্বীয় স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন রঙের গরু , ছাগল দেখার জন্য মরিয়া শিশু কিশোররা ছুটে আসেন হাটে।

সীতাকুন্ডে করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়েছে বলে এমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়।মুসলমান জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা।এই দিনটিতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ব্যস্ততার শেষ নেই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এই বছরে শুরুর দিকে তেমন জল্পনা কল্পনা ছিলোনা তাদের মনে।আর পরিকল্পনা করে থাকলেও ভাবতে হয় করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও নানাদিক। প্রাণঘাতী ভাইরাস সারাদেশে আর্থিক ক্ষতির বিপর্যয় ডেকে আনায় এবার পশু কোরবানি দিচ্ছেন না মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কিছু পরিবার। সবকিছু মিলিয়ে এই যেন হতাশার মধ্যে ক্রেতা বিক্রেতাদের আনন্দের উচ্ছ্বাস প্রকাশ।গত বছরের তুলনায় গরু ,ছাগল ,মহিষ তেমন বিক্রি না হলেও তবে ভীড় লক্ষণীয়।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *