সীতাকুণ্ডে খাবারে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে প্রবাসীর ঘরে চুরি, ১৬ জন আক্রান্ত



বার্তা ডেক্সঃ সীতাকুণ্ডে এক প্রবাসীর ঘরে খাবারে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এতে পরিবারের ১৬ সদস্য আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

সোমবার রাতে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়া গ্রামের খলিল ভুইয়া বাড়ির প্রবাসী হেলাল ও আরাফাতের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

চেতনানাশক খাবার খেয়ে শিশু, বৃদ্ধা, সন্তানসম্ভাবা নারীসহ অন্তত ১৬ জন অজ্ঞান হয়ে যায়। আর এতে করে দুই প্রবাসীর ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে।

চোরের দল ঘর থেকে স্বর্ণঅলংকার,মূূল্যবান জিনিসপত্র, মোবাইলসহ নগদ টাকা নিয়ে যায়।

আক্রান্ত ১৬ সদস্যকে সীতাকুণ্ড সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা করা হয়েছে।

তবে তাদের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানান সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুরুদ্দিন রাশেদ।

তিনি বলেন ইতিপূর্বেও একই ধরনের একাধিক ঘটনায় দুই পরিবারের অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

খলিল ভুইয়া বাড়ির শওকত হোসেন জানান এই দুই প্রবাসীর রান্নাঘর মূলঘর থেকে আলাদা থাকায় চোরেরা খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে দেওয়ার সুযোগ পায়। সকাল বেলা বাড়ির অন্যান্য লোকজন এই দুই পরিবারের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে পায় তাদের ঘরের দরজা খোলা সবাই বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে।

মুরাদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু তাহের, আলমগীর হোসেন ও স্বপন (সও) জানান, এই ইউনিয়নের কোন না কোন বাড়িতে প্রতিরাতেই চুরির ঘটনা ঘটছে।

তারা বলেন অন্যান্য ইউনিয়নে চৌকিদার ও জনপ্রতিনিধিরা রাতে এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করলেও মুরাদপুর ইউনিয়নে সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। যার ফলে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে।

তবে দশজন গ্রাম পুলিশ নিয়মিত এলাকার পাহারায় নিয়োজিত আছে বলে জানান মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ নিজামী বাবু।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ( তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি তবে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ পায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রঃ CPLUSTV