বিশ্বে একদিনে কমেছে সংক্রমণ-মৃত্যু

বিশ্বে করোনার সংক্রমণ-মৃত্যু পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে শুক্রবার। একদিনের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে প্রায় ৫ লাখ এবং মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে ১২ শ’রও অধিক।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৭ জন এবং এই রোগে মারা গেছেন ৫ হাজার ২০ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে,

আগের দিন বৃহস্পতিবার করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৬ হাজার ২৫৫ জনের। 

শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া।  এই দিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭ হাজার ১৭ জন এবং কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০১ জন।

একই দিন করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে— ৭২১ জন। এছাড়া দেশটিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ২৩৬ জন।

এছাড়া  জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০ জন, মৃত্যু ২১৭ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৯৭ হাজার ৭৭৯ জন, মৃত্যু ১১২ জন), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৯০ হাজার ৩৫০ জন, মৃত্যু ১২৫ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৭৬ হাজার ২৫০ জন, মৃত্যু ১৬৫ জন), ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন, মৃত্যু ৩৮০ জন) এবং রাশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৩৪ হাজার ৪৪২ জন, ‍মৃত্যু ৫২৪ জন)।

এছাড়া শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ২২ হাজার ৬১৯ জন।

বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ৬ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬৬ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২১১ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৬২ হাজার ৭৫৫ জন।

২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৭ জন এবং এই রোগে মারা গেছেন মোট ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৯ জন। পাশাপাশি, এই সময়সীমার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮২ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।

তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *