প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন তামিম

অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিমের

হঠাৎ করেই নিজ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন ডেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই ক্রিকেটপাড়ার মূল আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন তিনি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান তামিম। 

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন তামিম। তবে আপাতত তিনি দেড় মাসের বিশ্রামে থাকবেন বলে জানা গেছে। তিনি অধিনায়ক হয়েই ফিরবেন এশিয়া কাপ দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর গণমাধ্যমে তামিম বলেছেন, ‘আজ দুপুরে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটায়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন।’

তামিম অবসর ভেঙে ফেরার সিদ্ধান্ত জানানোর পর বলেন, ‘এরপর পাপন ভাই কথা বলবেন।’ 

বিসিবি সভাপতি পাপন সংবাদকর্মীদের বলেছেন, ‘আমার একটা ধারণা হয়েছিল ওর (তামিমের) প্রেস কনফারেন্সটা দেখে, হয়তো আবেগ থেকে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। আমার একটা বিশ্বাস ছিল, ওর সঙ্গে যদি সামনাসামনি একবার বসতে পারি তাহলে হয়তো এটার একটা সমাধান পাব। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা সবাই ওর সঙ্গে বসেছিলাম এবং ও আপনাদের সামনেই বলে গেল, সে যে অবসরের চিঠিটা দিয়েছে সেটা সে প্রত্যাহার করছে। সে অবসর নেয় নাই।’

এর আগে, দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটে গণভবনে যান তামিম ও মাশরাফি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন শেষ পর্যন্ত তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় মাশরাফির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকেও সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।

এদিন সকালেই পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন তামিম। কথা ছিল, ১৮ জুলাই পরিবার নিয়ে দুবাইয়ের বিমান ধরবেন তারা। তামিমের গণভবনে আসার খবর পেয়ে দর্শকরা সেখানে ভিড় জমান। প্ল্যাকার্ড হাতে তারা অবসর ভেঙে ফের তামিমকে ক্রিকেটে ফেরার দাবি তোলেন।