চট্টগ্রামসহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকাদানে বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে; যা চলবে আগামী ১২ দিন পর্যন্ত। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহের এ কর্মসূচিতে সারাদেশের সোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১০ অক্টোবর) করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হকের সই করা এক নির্দেশনায় জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে একযোগে দেশের ৪২৭টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এদিন সকাল ৯টায় টিকা দেওয়া শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/প্রতিনিধি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রমের সময় নির্ধারণ করবে।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। প্রথম ডোজ নেয়ার আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে তাদের।
এর আগে গত ১১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেরে বাংলা নগরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে এ করোনা টিকা দেওয়া হয়। এরপর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
এরই মধ্যে সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে এই বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
নিবন্ধনের পর করোনাভাইরাসের টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে কাছের স্কুল ভ্যাকসিনেশন সেন্টার ও পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুলবহির্ভূত শিশু) কাছের কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হবে।
তবে কোনো কারণে শিশুর সুরক্ষা নিবন্ধন সম্ভব না হলেও লাইন লিস্টিংয়ের মাধ্যমে করোনার টিকা দেয়া হবে।
এ কর্মসূচির পর একদিন শুধু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্কুলের বাইরে থাকা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে সারা দেশের কমিউনিটি পর্যায়ে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
Leave a Reply