চট্টগ্রাম বন্দরে শতভাগ ইডিও সিস্টেম চালু মঙ্গলবার, বাঁচবে অর্থ-শ্রম-সময়

 চট্টগ্রাম বন্দরে শতভাগ ইডিও সিস্টেম চালু মঙ্গলবার, বাঁচবে অর্থ-শ্রম-সময়

চট্টগ্রাম বন্দর

ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমাতে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চালু করছে শতভাগ ইলেকট্রনিক ডেলিভারি অর্ডার (ইডিও) সিস্টেম। ফলে আগে প্রতিদিনের ডেলিভারি অর্ডার প্রক্রিয়া শেষ হতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগলেও এখন সেটি শেষ হবে কয়েক মিনিটেই। নতুন এ ব্যবস্থায় সময়, অর্থ ও শ্রমের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রথাগত নিয়ম অনুসারে, কাস্টমস থেকে ক্লিয়ারেন্সের পর ডেলিভারি অর্ডার নিতে শারীরিকভাবে শিপিং লাইন অফিসে আসতে হতো সিএন্ডএফ এজেন্টদের। শিপিং লাইন অফিস আদেশ জারি করার পর তা বন্দর এবং সিএন্ডএফ এজেন্টদের কাছে পাঠানো হতো। শিপিং লাইন অফিসে আনুষ্ঠানিকতার পর সিএন্ডএফ এজেন্টরা বন্দর থেকে ডেলিভারি নিতে পারে। এতে করে পণ্য ডেলিভারি নিতে ৫ থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতো। 

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টিইইউ আমদানি করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। আমদানিকারকের পক্ষে একজন সিএন্ডএফ এজেন্ট বন্দরে পণ্য আসার পর পোর্টালে লগ ইন করে ইডিও এর জন্য আবেদন করবেন। সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে শিপিং লাইন এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারকেও তথ্য জানানো হবে। এরপর শিপিং এজেন্ট ফি সংগ্রহ করবে এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারের কাছে পাঠাবে। একইভাবে, মালবাহী ফরোয়ার্ডরা তাদের চার্জ সংগ্রহ করবে এবং সেই তথ্য পোর্টালে আপলোড করবে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন সিভয়েসকে বলেন, আগে আমদানিকৃত পণ্য ডেলিভারির জন্য ম্যানুয়ালি আবেদন করতেন শিপিং এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরওয়ার্ডাররা। আগামীকাল থেকে যেহেতু শতভাগ ইডিও সিস্টেম চালু হবে তাই সেবা গ্রহীতাকে হয়রানি করার কোন সুযোগ থাকবে না।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আগামীকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য ডেলিভারিতে শতভাগ ইডিও সিস্টেম চালু হবে। এটি একটি বিশাল অর্জন। ধীরে ধীরে বন্দরের পুরো অপারেশনকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। ইডিও সিস্টেম চালুর ফলে এখন থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম শেষ করতে কোন ব্যক্তি শারীরিকভাবে অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ অনলাইনে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। ফলে সময় হ্রাস পাবে এবং জালিয়াতি ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ডেলিভারি অর্ডার নেওয়া বন্ধ হবে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *