গাড়িচালকের টাকা লুট, সীতাকুণ্ড থানার দুই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডিবি পরিচয়ে এক গাড়িচালকের দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করায় পুলিশের এক এসআই ও এক কনস্টেবলসহ তিন পুলিশ সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী গাড়িচালক আবু জাফর (৪৩) বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করলে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা হল- এসআই সাইফুল আলম, কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সোর্স মো. রিপন (৩৫), হারুন (৩৩) ও গাড়িচালক রাজু (২৫)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সকালে গাড়িচালক আবু জাফর একটি পিকআপ গাড়ি কিনতে সীতাকুণ্ডে আসেন। কিন্তু দরদামে না মেলায় তিনি গাড়িটি না কিনে সন্ধ্যায় ফিরে যাবার সময় পৌরসদর বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী বাস কাউন্টারে তিনজন পুলিশ সোর্স তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের সাথে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম যোগ দেয়। পরে নিজেদের ডিবি বলে পরিচয় দেয় ও গাড়িচালকের কাছে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে এক্সরে করান। কিন্তু ইয়াবা না পেলেও পরে আরো বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্য তার সাথে রাখা দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় ও তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে পরে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। সে গাড়িতে তিনি ঢাকায় চলে যান। কিন্তু অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা এভাবে লুটে নেয়ায় গাড়িচালক আবু জাফর তা মেনে নিতে পারেননি। তিনি সুবিচারের আশায় সীতাকুণ্ড থানায় এসে ঘটনা জানান। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারও ঘটনাটি জানতে পেরে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সীতাকুণ্ডে আসার পর আবু জাফর যেখানে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় জানতে পারেন। শেষে ভুক্তভোগী আবু জাফর এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর প্রথমদিকে এসআই সাইফুল ও কনস্টেবল সাইফুল পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ সুপারের চাপে বৃহস্পতিবার তারা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে এ ঘটনার পর সীতাকুণ্ড থানার ওসি, ওসি (তদন্ত)-সহ কেউই সাংবাদিকদের ফোন ধরেননি। জানতে চাইলে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি আশরাফুল করিম এসআই সাইফুল ও কনস্টেবলের গ্রেপ্তারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা স্বীকার করেন। এর বেশি তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সূত্রঃ সীতাকুণ্ড নিউজ ২০


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *