করোনা ভ্যাকসিন: নিতে হবে তৃতীয় ডোজ

করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বুরলো বলেছেন, তাদের কোম্পানির তৈরি করা ভ্যাকসিনের ডোজ নেয়ার ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেয়া লাগতে পারে।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।এ সময় সিইও বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতি বছর ভ্যাকসিন নেয়া লাগতে পারে।

করোনার নতুন নতুন ধরন ‘মূল ভূমিকা’ পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তৃতীয় ডোজ প্রয়োজন হবে, কোথাও ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে এবং পরে প্রতি বছরে ভ্যাকসিন দেয়া লাগতে পারে, তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া দরকার।’ভ্যাকসিন নিলে সেটি শরীরে কতদিন পর্যন্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে গবেষকরা বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।চলতি মাসের শুরুর দিকে ফাইজার এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করে, তাদের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯১ শতাংশেরও বেশি কার্যকর এবং দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।তবে গবেষকরা বলেছেন যে, ছয় মাস পরে সুরক্ষা স্থায়ী হয় কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন।জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করে ফাইজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলোতে এই ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট বায়োএনটেক ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করে যে, করোনার নতুন নতুন ধরনের বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে লড়াই করার জন্য এটি তার ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ পরীক্ষা করছে।বুরলো বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাদের কোম্পানি নতুন সূত্রে কাজ করছে যাতে তাদের ভ্যাকসিনকে সাধারণ তাপমাত্রায় ৪ থেকে ৬ মাস ধরে সংরক্ষণ করা যায়।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *