কঠোর লক ডাউনে ভবঘুরে পাগল ও অসহায় মানুষের পাশে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ

শেখ নাদিম নিজস্ব প্রতিবেদক :বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপে চলছে কভিড-১৯ এর বিধ্বংসী খেলা।সারাদেশে আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর হার।করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কমাতে কঠোর লক ডাউনের সিদ্ধান্ত।

এরপর কঠোর লক ডাউন ঘোষণা ও বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জিবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।রিক্সা চালক,ভ্যান চালক, ভবঘুরে পাগল থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষ পড়েছেন ভীষণ বিপাকে।খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের এমন অবর্ণনীয় দুর্ভোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ন্যায় তাদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ।

অক্সিজেন সেবা,মেডিসিন সেবা,জরুরী এম্বুলেন্স সেবা,ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ থেকে শুরু করে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন সম্পুর্ন করা সহ সকল প্রকার মানবিক কর্মকান্ডে শিক্ষা শান্তি প্রগতির ধারক বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তথা সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ মহৎ কাজ করে আসছে।

তৃণমূল থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের সকল ইউনিট সাধারণ মানুষের দুর্দিনে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে সীতাকুণ্ড বাসীর কাছে তারা প্রশংসিত হয়েছে।বিশেষ করে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলানীর কর্মকাণ্ড চোঁখে পড়ার মতই।দিন নেই,রাত নেই ফেসবুকে কিংবা সরাসরি ডাক আসলেই মানুষের বিপদে নির্দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।চলমান কঠোর লক ডাউনে পুরো সীতাকুণ্ড উপজেলায় তিনি ভবঘুরে পাগল থেকে শুরু করে অসহায়,গরীব দুঃস্থদের মাঝে তিনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

করোনা পূর্ব থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

আপনারা জানেন করোনার ২য় ঢেউয়ে খুব কঠিন সময় পার করছি আমরা।তার মধ্যে সারা দেশে কঠোর লকডাউন চলছে।বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছে সাধারন মানুষের পাশে থাকতে,তারি ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়,সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার নির্দেশে সারা বাংলাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক যোগে কাজ করছে।তেমনি ভাবে চট্টগ্রাম উওর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হোসেন তপু ও সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম ভাইয়ের নির্দেশে আমরা সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ মাঠে কাজ করছি।আপনারা জানেন আমরা করোনার শুরু থেকে মানুষ কে সচেতন করতে মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করি,শ্রমিকের অভাবে কৃষকের ধান নষ্ট হচ্ছিল তাকে আমরা ছাত্রলীগ স্বেচ্ছা শ্রমে ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছি।মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছি,অক্সিজেন সেবা দিচ্ছি এবং পথে ভাসনমান মানুষদের দৈনিক সামর্থ্য অনুযায়ী রান্না করা খাবার বিতরন করছি।আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনুরোধ করবো এই কঠিন সময়ে আমরা যে যার সামথ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সাস্থ বিধি মেনে চলার অনুরোধ রহিল।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *