মোঃ জয়নাল আবেদীন:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জলসা আবাসিক হোটেলে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছে। বেড়ানোর কথা বলে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে আবাসিক হোটেলে এনে টানা দু দিন ধর্ষণ করে।এতে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সোমবার সকালে তরুণী অসুস্থ অবস্থায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ দুপুরে প্রেমিক নয়নসহ ৫ বন্ধুকে গ্রেফতার করে।এতে হোটেল ম্যানেজারসহ ৬ ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণী মামলা দায়ের করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আটককৃত আসামীরা হলেন, প্রেমিক নয়ন ( ২২) গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোঃ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত(১৯), মুরাদ পুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের মোঃ নুর নবীর ছেলে মোঃ আলিম (২২), দক্ষিণ ভাটের খীল গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ ইমন ইসলাম (২০),একি এলাকার নেতার আহমেদ এর পুত্র রনি(২০),জলসা আবাসিক হোটেলের মালিক দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে নুর উদ্দিন (৩৮), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২২)
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদ পুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কাশেমের ছেলে নয়নের (২২)সঙ্গে একমাস আগে পরিচয় হয় মিরসরাইয়ের স্বামী পরিত্যক্ততা এক তরুণীর।ওই তরুণীকে (১৮) প্রেমিক নয়ন সীতাকুণ্ডে বেড়ানোর প্রস্তাব দিলে সে সম্মত হয়।গত শনিবার তরুণী সীতাকুণ্ডে আসলে তাকে নয়ন ও তার বন্ধুরা গুলিয়াখালী সি বিচ সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে আবুল কালামের মালিকানাধীন জলসা আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়।এরপর প্রেমিক নয়ন ও তার পাঁচ বন্ধুরা তরুণীকে টানা ধর্ষন করতে থাকে।মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রেমিক নয়ন সহ ৬ ধর্ষককে গ্রেফতার করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার তদন্ত ওসি সুমন বণিক বলেন, ধর্ষনের শিকার তরুণী স্বামী পরিত্যক্ততা।একমাস আগে নয়নের সঙ্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয়।সেই সূত্র ধরে তার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা হয়।পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে সীতাকুণ্ডে নিয়ে এসে জলসা আবাসিক হোটেলে নিজে ও বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে।