মোঃ জয়নাল আবেদীন সীতাকুণ্ড
সীতাকুন্ডে ভাড়া নৈরাজ্য থেমে নেই।একের পর এক অভিযোগ উঠে এলেও রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে চালক ও মালিক সমিতি। করোনা সংকটে মালিক সমিতির ডাকাতি আচরণে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
৬০% ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে দিগুন পরিমাণ ভাড়া। এহেন পরিস্থিতিতে সীতাকুণ্ডের যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। সেই ধারাবাহিকতায়
আজ বৃহস্পতিবার ৬ আগস্ট বিকাল চারটায় সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শায়েস্তা খান সাজুর নেতৃত্বে সীতাকুন্ড বাস স্ট্যান্ডে দিগুন ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেন। সরকারী নির্দেশনা না মেনে পরিবহন শ্রমিকদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
সরকারী আইনের তোয়াক্কা না করে দিগুন ভাড়া নেয়ার কারণে এসময় ২৫/৩০ টি গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়েছে। এবং পরিবহন শ্রমিকদের সচেতন ও গাড়ির নং সনাক্ত করা হয়েছে। একাধিকবার সতর্ক করার পরেও একঘেয়েমি আচরণ বন্ধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
হয়রানির শিকার যাত্রীরা জানান, ৬০% ভাড়া নেয়ার এখতিয়ার থাকলেও পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের থেকে দিগুন ভাড়া নিচ্ছেন। শারিরীক দূরত্বের বালাই নেই তবুও ১৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছেন ৩০/৩৫ টাকা।এই ব্যাপারে মালিক সমিতির উদাসীনতাই চরম অনিয়ম হচ্ছে বলে তারা জানান। তবে এই ব্যাপারে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আজকের প্রতিবাদে আমরা আনন্দিত হলাম। যাত্রীদের জন্য এমন প্রতিবাদটি খুব দরকার ছিলো।তাই আমরা সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই।
সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শায়েস্তা খান সাজু বলেন , আমরা এই ব্যাপারে একাধিকবার বলার পর তারা নিয়ম মেনে চলেনি। যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা দিগুন ভাড়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাই। গাড়ির চালকদের সচেতন ও গাড়ির নং গুলো আমরা সনাক্ত করেছি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার কামরুদ্দৌজা বলেন, বাড়তি ভাড়া নেয়ার বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে আমাদের কাছে।যেসব গাড়ি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আমরা তাদের গাড়ির নং সনাক্ত করেছি। এবং যাত্রীদের হয়রানি রোধে করণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।যাতে পরিবহন শ্রমিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে গাড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। শারিরীক দূরত্ব না মেনে দিগুন ভাড়া নয় বরং চারগুণ বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে যা কোনভাবেই বোধগম্য নয়।