Total Views: 514
মোঃ জয়নাল আবেদীন:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া এলাকায় পুকুরের পানিতে কবরস্থানের ধসে পড়া মাটি রক্ষা করতে ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ দিদারুল আলম দিদার।তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগ নেন।এতে এলাকার অন্তত পাঁচশত পরিবার কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগে সাড়া দেন।কেননা শতবর্ষী কবরস্থানের মাটি ধস ঠেকাতে না পারলে অচিরেই পুকুরের পানিতে তলিয়ে যাবে হামিদ আলী মিস্ত্রী জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান।যারফলে মানুষের মৃত্যুর পর শেষ ঠিকানা নির্ধারণ ও বেওয়ারিশ লাশ দাফনেও স্থানীয়দের হিমশিম খেতে হবে।সবদিক বিবেচনায় উত্তর বাঁশবাড়িয়া ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিদারুল আলম দিদার কবরস্থানের ১২ শতক জমি রক্ষায় ইতিমধ্যে গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছেন।

কবরস্থান সংস্কারের বিষয়ে উত্তর বাঁশবাড়িয়া ২নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ দিদারুল আলম দিদার বলেন, শত বছরের পুরনো কবরস্থানটির জমির পরিমাণ ১২ শতক। ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ শতক জমি পুকুরে পানিতে তলিয়ে গেছে।যারফলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি কবরস্থান রক্ষায়।আমি এলাকার বাসিন্দাদের কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়টি জানালে তারা কবরস্থান সংস্কারের কাজে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন।যারফলে ইতিমধ্যে কবরস্থান সংস্কারের অংশ হিসেবে আমরা গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।তবে সংস্কারের পূর্বে বিষয়টি জননেতা লায়ন আসলাম চৌধুরীকে জানালে তিনি আমাকে কাজ করার পরামর্শ দেন।প্রিয় নেতার সাহসে কবরস্থান সংস্কারে উদ্যোগ নেই।ইতিমধ্যে ১১ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।কবরস্থান সংস্কারে ব্যয় হবে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা।যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।এই সুবাদে আমরা সীতাকুণ্ড উপজেলা ইউএনও স্যারের কাছে একটি লিখিত দরখাস্ত করি।তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সহিত দেখেছেন।

এই বিষয়ে মোস্তফা সর্দার (৭৫) বলেন, এটি শত বছরের পুরনো একটি কবরস্থান।এই কবরস্থানকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ ছাড়াও বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়।পুকুরের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে কবরস্থানের নিশানা মুছে যেত।কিন্তু দিদারুল আলম দিদার আমাকে বলল কাকা কবরস্থান সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে।আমরা তার উদ্যেগে স্বাগত জানাই।এরপর কবরস্থান সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
এই বিষয়ে মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, কবরস্থানের ধসের ফলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। সেই সুবাদে গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কবরস্থান সংস্কার করার।সংস্কার কেন্দ্র করে আমরা অনেক টাকা খরচ করেছি কিন্তু সব ব্যয় বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কবরস্থান সংস্কারে কিছু টাকা সরকার আমাদের দেয়ার আশ্বাস দেন।কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা টাকা পাচ্ছি না।সুতরাং প্রশাসনের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মসজিদ কমিটির সদস্য বদরৌদ্দোজা মিন্টু বলেন, মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান শত বছরের পুরনো।এটি সংস্কারে সরকারের কাছে অনুদান পাওয়ার কথা ছিল।এই মুহূর্তে অনুদান না পেয়ে ধস ঠেকাতে গ্রামবাসীদের অর্থায়নে প্রায় দুই মাস আগে কাজ শুরু হয়।কবরস্থান সংস্কারের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।যদি আমরা সরকারী অনুদান পাই তাহলে গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।