মোঃ জয়নাল আবেদীন:
চট্টগ্রামে ইউনিয়ন ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখায় চরম তারল্য সংকটে পড়েছে।এই শাখায় গ্রাহক ও আমানতকারীরা কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে এবং দাঁড়িয়ে নগদ টাকা পেতে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী নগদ টাকা দিতে পারছেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা।এতে করে চরম বেকায়দায় পড়েছে আমানতকারীরা।
১৯ সেপ্টেম্বর (২০২৪) বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে গ্রাহকদের সীমাহীন ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।এসময় ব্যাংক ম্যানেজার তাদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। আমানতকারীদের চাপে কখনো মুঠোফোন আবার কখনো টেলিফোনে কথা বলছেন।দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার কারণে অভিভাবকদের সঙ্গে আসা শিশুরা কান্না করছেন।অনেকেই আবার ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে চিৎকার দিয়ে কথা বলছেন।এক থেকে দুই লাখ টাকা লোনের টাকা উত্তোলন করতে গ্রাহকদের বার বার ব্যাংকের দুয়ারে ঘুরতে হচ্ছে।
ব্যাংকে আসা শাহনাজ বলেন, আমি গৃহ নির্মাণের জন্য এনজিও থেকে লোনের প্রস্তাব পাশ করিয়ে আমাকে ইউনিয়ন ব্যাংকের চেক দেওয়া হয়।চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আমাকে বার বার আসতে বলা হচ্ছে।আজকে বৃহস্পতিবার এসেও আমাকে দুই ঘন্টার মতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে।এদিকে টানা বৃষ্টিতে আমার পরিবারের নাজেহাল অবস্থা।আজকে ৩০ হাজার টাকা দিবে বলছে ম্যানেজার।বিপদের মুহূর্তে লোন নিয়ে যদি সব টাকা একসাথে না পাই তাহলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
অন্য এক গ্রাহক বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে সেটা মানছি।কিন্তু এই শাখায় কর্মকর্তারা টাকা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে আবার ডেট পিছিয়ে দিচ্ছেন।এদিকে পাওনাদাররা গালিগালাজ করছেন।আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।শেখ হাসিনা দেশের বারোটা বাজিয়ে পালিয়ে গেছে।এছাড়া দুর্নীতিবাজরা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গুলো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংককে করেছেন শূন্য।বাংলাদেশ ব্যাংক সে শূন্যতা পূরণ করলেও সময়মতো টাকা পাচ্ছিনা আমরা।কিন্তু অন্য ব্যাংকে অস্থিরতা কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে কর্মকর্তা শেখ হাসিনা এমন পরিস্থিতি করে পালিয়েছেন বলে আওয়াজ তুলেন। সরকারী ও ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক নামে বেনামে ঋণ ও অধিক বিনিয়োগের ফলে তারল্য সংকটে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।সেই সাথে দেশের সাবেক অবৈধ সরকার হাসিনা টাকা ছাপিয়ে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করার ফলে ব্যাংকে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে জানান অনেকেই।
সীতাকুণ্ড শাখার ইউনিয়ন ব্যাংকের ম্যানেজার বলেন, ব্যাংকের এই পরিস্থিতি শিগগিরই কাটিয়ে উঠবে।আমরা গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছিনা।আর দিলেও তাদের প্রয়োজনের তুলনায় কম।আর ধৈর্য্যের একটা লিমিট আছে।