সীতাকুণ্ড বার্তা
পৃথিবি জুড়ে যখন মহামারী করোনাভাইরাস আক্রমনে সারা বিশ্ব যখন দিশেহারা তার থেকে বাংলাদেশকে এই মহামারী থেকে বাচাঁতে লড়াই করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। অন্যদিকে এই করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশও মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছে এই কারণে তাদেরকে মানবিক পুলিশ বললে ভুল হবে না।
কারণ সারাদিন দায়িত্ব পালন করে রাতের অন্ধকারে অসহায় দরিদ্র পরিবারের খোঁজ নিয়ে নিজের সাধ্যমত খাদ্য সমাগ্রী নিয়ে বাড়ীর দরজায় কড়া নাড়ছেন তিনি আর কেউনন সীতাকুণ্ডের সন্তান চকরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো: আমিনুল ইসলাম।
হারবাং এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউচুপ বলেন, আমিনূল ইসলাম এই ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে হারবাং ও বরইতলী মাদক সহ সব ধরের অপরাধ জিরোটলারেন্স নিয়ে এসেছে মন্তব্য করেন। বলতে গেলে এই দুই ইউনিয়নের লোক এখন শান্তিতে বসবাস করছে। পুলিশ হিসাবে তার কর্মদক্ষতা তুলনা হয়না।
চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মো.আমিনুল ইসলাম, কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই করোনা মহামারীতে পরিস্থিতির শুরু থেকে হারবাং ও বরইতলীতে গোপনে বিভিন্ন বাড়ী বাড়ী গিয়ে নিজের থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।
জেলা পরিষদের সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লাইয়ন কমরউদ্দিন আহমদ ও চট্রগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি বলেন, পৃথিবীর বহুদেশে সরকারী বেসরকারী ও ভ্রমনের করার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেই হিসাবে বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন দেশের পুলিশের সাথে আমার অনেক কথা হয়।
তারা আমার থেকে প্রশ্ন করে আপনাদের দেশের পুলিশ সাধারণ জনগনের সাথে কি ভাবে আচার আচরণ করে? প্রতি উত্তরে আমি বলি বাড়ীর পাশে একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তার সাথে কথা বললে বুঝা যায় আমাদের দেশের পুলিশ নিয়ে গর্ব করার মত। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার প্রতিটি বাহিনীতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ী কাছে পুলিশ ফাঁড়িতে একজন পুলিশ অফিসার আছে তিনি হচ্ছেন মো: আমিনুল ইসলাম। এতক্ষণ যার কথা বলেছি তিনি একজন মানবিক পুলিশ।
এলাকার একজন বৃদ্ধা মহিলা বলেন, আমিনুল ইসলামের কাছে বিচার নিয়ে গিয়েছিলাম তিনি আমার কথা মন দিয়ে শুনে তক্ষানিক আমার বিরোধটি নিস্পতি করে দেয়। তিনি গত ১৫/১২/২০১৯ তারিখ মধ্যে ৯মাসের মাসিক কল্যাণ সভায় মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় এর নিকট হতে পুরস্কার স্বরুপ সনদ এবং আর্থিক পুরস্কার গ্রহন করেছেন কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর (নি:) হিসাবে।
সূত্র :- একাত্তর ২৪