বিশ্বজুড়ে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৮০৭ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৭ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯০৪ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫১ জনে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে এসব জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ২৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৬২৬ জন। এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১০ লাখ ২ হাজার ২৩৬ জন।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৪৭০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৩ হাজার ৯০২ জন মারা গেছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৮৭ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৯২ জন এবং মারা গেছেন ২৬১ জন। ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৯০ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারত মৃতের সংখ্যার তালিকায় তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৮২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন। তুরস্কে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৭৭ জন।
একই সময়ে ইতালিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮১১ জন এবং মারা গেছেন ১৮২ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৮ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন।
গত একদিনে ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৫ জন এবং মারা গেছেন ১২৪ জন। জাপানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬০৫ জন এবং মারা গেছেন ১১০ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৭৬২ জন এবং মারা গেছেন ১৫৯ জন। পোল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৯৪ জন এবং মারা গেছেন ১৪৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে সংস্থাটি