বিএনপির নেতারা মাইক লাগিয়ে কী হারে মিথ্যা কথা বলে সেটা দেখে নেন। তারা সব কিছু খাটো করে দেখার চেষ্টা করে। বিএনপির মিথ্যা কথায় কেউ কান দিবেন না, বিশ্বাস করবেন না। যে দলের জন্মই অবৈধ উপায়ে। যারা টিকেই আছে মিথ্যা দিয়ে, যাদের শেকড় নেই। তাদের কথায় কান দিবেন না বলে জনগনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বলতে শুনছি যে আমরা মেগা প্রজেক্ট করে ফেলেছি ঠিকই কিন্তু দরিদ্রদের জন্য কিছু করিনি। তাদের প্রতি আমি বলতে চাই- তারা বাংলাদেশ দেখেনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি জায়গায় তার সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা ভেবে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষার অধীনে বর্তমানে ১৭কোটি মানুষের দেশে ১০কোটি ৬১লক্ষ ১৩ হাজার ৭৬৩জন উপকারভোগী রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে একেকজন একাধিক ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে। ভিজিএফ এর কাজ করা হচ্ছে যেনো সাধারণ মানুষের যেনে কস্ট না হয়। আগে মৌসুমের ওপর নির্ভর করে সবজি হতো, এখন যা দেখেন বারো মাসই পাওয়া যায়। কৃষিতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আজকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। ২ কোটি ৫০লক্ষ মানুষ এর উপকারভোগী। খাদ্য ও অর্থ সাহা্য বলে জায়গায় আমরা ৩৩লক্ষ উপকারভোগী দেখতে পাই। কাজের বিনিময়ে খাদ্যতে ২৮ লক্ষ্য উপকারভোগী, জিনিসের দাম বাড়লেই কম দাম দিয়ে খাবারের সুযোগ করে দিচ্ছি ওএমএস এর মাধ্যমে। এর উপকারভোগী ৪৫লক্ষ মানুষ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৬৩লক্ষ মানুষ। ২৪ লক্ষ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাকে ভাতা দেওয়া হয়। আগে প্রতিবন্ধিদের লুকিয়ে রাখতো অভিভাবকরা। সচেতনতা ছিলো না। সবদোষ মায়ের ওপরে গিয়ে পড়তো। এখন ২৪ লক্ষ উপকারভোগী। প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের আলাদা বৃত্তিরও ব্যবস্থা আছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। আমি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি সবুজ জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন এবং “লস এন্ড ড্যামেজ” ফান্ডকে কার্যকর করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি।
জেইক সুলিভান নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনের মতো সরকারের অর্জনের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি আবারও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।