সীতাকুণ্ড বার্তা;
দেশের চাহিদার বেশিরভাগ পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয় এই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। প্রতিবছর গড়ে এই বন্দর দিয়ে ২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা। চলতি বছরের ৬ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন।
পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্যা ও উৎপাদন সংকট দেখিয়ে হঠাৎ গেল ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্তে পুঁজি হারাতে বসেছেন আমদানিকারক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি বন্ধের পর ভারতের অভ্যন্তরে টানা পাঁচ দিন দাঁড়িয়ে থাকে দুই শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাকে ২৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আর এসব পেঁয়াজ অতিরিক্ত গরমে বেশিরভাগ পচে গেছে, রাখা হয়েছে আড়তের সামনে। এর দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী।
এমন পরিস্তিতিতে আড়াই হাজার টাকা দামের পেঁয়াজের বস্তা (৬০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে। যা কেজি প্রতি পড়ে ১ টাকা বা তার চেয়ে বেশি।
সরেজমিনে আড়তে দেখা যায়, শনিবার ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো বেশিরভাগ পচে পানি ঝরছে। দুর্গন্ধ হওয়ায় রাস্তা দিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের। অন্যদিকে লোড-আনলোডের কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। যেই পেঁয়াজ আড়াই হাজারের বেশি টাকায় বিক্রি হয় সেই পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়।
হিলির পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর ভারত সরকার আগে থেকে কোনোকিছু আমাদের না জানিয়ে রফতানি বন্ধ করে দেয়। আর এতে বড় ধরণের লোকসান গুনতে হয় আমাদের। এভাবে পাঁজি হারালে আমাদের পথে বসতে হবে। প্রতি ট্রাকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।
তিনি আরও জানান, ভারতের অভ্যন্তরে আরও ১৮০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দেয়া হয় সরকারের কাছে সেই দাবি।
সূত্র: সময় টিভি।