চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের প্রেক্ষিতে ট্রিগার থেশহোল্ড বিষয়ক বৈধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
রবিবার, ১৮ মে-২০২৫  নগরীর গোল্ডেন স্পুন রেস্টুরেন্টে জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস (GFFO) ‘ র অর্থায়নে, সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহায়তায়, রাইমস এর কারিগরি সহায়তা ইপসা বাস্তবায়নাধীন “জিএফএফও- মাল্টি হ্যাজার্ড এন্টিসিপেটরি এ্যাকশন ইনিসিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের উদ্যোগে “লোকাল লেবেল ট্রিগার থেশহোল্ড ভ্যালিডেশন ফর ল্যান্ডস্লাইডস এন্টিসিপেটরি এ্যাকশন ইন চট্টগ্রাম” বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বৈধকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুব মোর্শেদ, অধ্যাপক ড. ইকবাল সরোয়ার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড.রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার, ও আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসার প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার। চট্টগ্রামের পাহাড়ধস, ট্রিগার এণ্ড থেশহোল্ড বিষয়ক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. ইকবাল সরোয়ার, আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল, গবেষক দলের সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস। সভায় সিটি কর্পোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভূমি অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সিপিপি, প্রাণী সম্পদ বিভাগ সহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রেজেন্টেশন ও প্যানেল আলোচকদের আলোচনায় উঠে আসে পাহাড়ধস এখন চট্টগ্রামের একটি  নিয়মিত দুর্যোগ,  একইসাথে এটি গুরুতর পরিবেশগত ও মানবিক সমস্যাও বটে। এই সমস্যার প্রেক্ষিতে আগাম প্রদক্ষেপ গ্রহণে ট্রিগার থেশহোল্ড নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় উঠে আসে ২৪ ঘন্টায় ১০০/১২০  মিমি বৃষ্টিপাত হয় সেটি অবশ্যই ট্রিগার হিসেবে বিবেচিত হবে, সেক্ষেত্রে আগাম সতর্ক ব্যবস্থা নিরূপণ করার মধ্যে দিয়ে খুব সল্প সময়ে ঝুঁকি নিরূপণ করে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা যায় এবং সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। উল্লেখিত গবেষনায় ট্রিগার, থেশহোল্ড নির্ধারণে স্থানীয় জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত/ ভূমিধসের অতীত রেকর্ড, ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ যেমন মাটির ধরণ, ঢাল, উদ্ভিদ আচ্ছাদন, বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখা সংযোজিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. ইকবাল সরোয়ার এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি গবেষণা দল, আবহাওয়া অধিদপ্তর, GIS/ রিমোট সেন্সিং ডেটা, স্যাটেলাইট ডেটা সংগ্রহ, মাঠ পর্যায়ে পরামর্শক সভা, এফজিডি , কে আই আই  সহ বিভিন্ন উৎসের ভিত্তিতে  ট্রিগার থ্রেশহোল্ড নির্ধারণ করেছে।

প্রধান অতিথি চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন এটি নিঃসন্দেহে পাহাড় ধসের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণে কাজ করবে। পাহাড়ধস বিষয়ে  ট্রিগার থ্রেশহোল্ড নির্ধারণ হলে  আগাম প্রস্তুতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে কার্যকর একটি ডকুমেন্টস হয়ে উঠবে। প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পাহাড়ধসের একটি বাস্তবভিত্তিক পূর্বাভাস ব্যবস্থা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। তিনি ট্রিগার- থ্রেশহোল্ড বৈধকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এন্টিসিপেটরি এ্যাকশন প্ল্যান / প্রটোকল তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top