সীতাকুণ্ড বার্তা;
কাজের জন্য বানানো মই দিয়ে প্রধান ফটক পার হয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক। পালানোর সময় তার পরনে সিভিল পোশাক ছিল।
ওই সিভিল পোশাকের কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা কেউ বাধাও দেননি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তদন্ত কমিটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ৪২ জন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাক্ষ্য ও অন্যান্য নথি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
অতিরিক্ত কারা মহা-পরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি ৮ ও ১৩ আগস্ট কারাগার পরিদর্শন করে।
কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এই বিষয়ে কথা হয় অতিরিক্ত কারা মহা-পরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেনের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, আমরা তদন্তে পেয়েছি, কাজের জন্য বানানো মই দিয়েই কারাগারের প্রধান ফটক অতিক্রম করে পালিয়েছেন ওই বন্দি।
কারাগারের ভেতরে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হতো মইটি। কারাগারের ভেতরে ইলেকট্রিক্যাল ও বিভিন্ন কাজের জন্য মই ব্যবহার করে থাকে। নিয়ম হলো কাজের পরে মই খুলে প্রধান কারারক্ষী তত্ত্বাবধানে স্টোররুমে তালা দিয়ে রাখা। কাজের পরে সেই মই না খুলে কারাগারের ভেতরে স্টোরে রেখে দেয়। স্টোররুমের তালা না থাকায় সেই স্টোররুম থেকে মইটি নিয়ে পালিয়ে যায় বন্দি। কারাগারে থাকা কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই বন্দি পালিয়ে যেতে পেরেছেন বলে তদন্ত কমিটিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি একটি সূত্র জানান, জেলসুপার ও জেলার যদি কারা অভ্যন্তরে আরও তদারকি করতেন এবং ডেপুটি জেলাররা যদি তাদের নির্দিষ্ট এলাকাগুলো নিয়মিত ঘুরতেন এবং কারারক্ষীরাও যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে বন্দি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতো না।
তদন্ত কমিটির মতে, পুরো ঘটনায় কারাবিধি ও সরকারি চাকরি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এ ঘটনার জন্য কাশিমপুর কারাগারের জেলসুপারসহ মোট ২৫ জনকে দায়ী করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কারাবিধি ও সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সূত্র: বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম।