এস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি সরাতে সহায়তার অভিযোগ ওঠা বিএনপির তিন নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তাঁদের জবাব সাপেক্ষে কেন্দ্র থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
গাড়িকাণ্ডে অভিযুক্ত তিন নেতা হলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং কর্ণফুলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়া।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন চৌধুরী সীতাকুন্ড বার্তা প্রতিনিধিকে বলেন, যে কোন ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনেতা তারেক রহমানের জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে সবকিছু দেখভাল করা হচ্ছে। অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রীয়ভাবে তাঁদের শোকজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এস আলম গ্রুপের বিলাসবহুল ১৪টি গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক এনাম ও কর্ণফুলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়ার উপস্থিতি দেখা গেছে। ঘটনাটি কালুরঘাট শিল্প এলাকার মীর গ্রুপের মালিকানাধীন ওয়্যারহাউসে।জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও মীর গ্রুপের মালিক আবদুস সালাম সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। আবার আবদুস সালাম সম্পর্কে সাইফুল আলম মাসুদের বেয়াই। অভিযোগ উঠেছে, সে সুবাদেই বিএনপি নেতাদের ‘শেল্টারে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এস আলমের এসব বিলাসবহুল গাড়ি।
যদিও শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির এসব নেতা। তাদের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, গত ২৯ আগস্ট নগরের কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় মীর গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোনে প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বিএনপি’র নাম দিয়ে চাঁদা দাবি করছে বলে জানতে পারেন তারা। বিএনপির নামে চাঁদা দাবির কথা শুনেই তারা ঘটনাস্থলে যান।