এবার অস্থিতিশীল দেশি পেঁয়াজের বাজার, কেজিতে বাড়লো ১৫ টাকা

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ কোন কিছুতেই মিলছে না স্বস্তি। এবার বেড়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা দেশি পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নগরের পাহাড়তলী ও ঈদগা কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা দোকান ঘুরে এমনটাই দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, হিলিতেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেখানেই ৩২ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তারপর চট্টগ্রামের মোকাম হয়ে খুচরা বাজারে আসতে আসতে দাম বেড়ে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, এখন হিলিতে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে। পাশাপাশি বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও কম। তাই দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে শীতের মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে প্রতিকেজি শিম-বেগুন ৪০ থেকে ৫০, ফুলকপি-বাধাকপি-শসা ৩০, মরিচ ৩০ থেকে ৪০, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৫০, মুলা ২০ এবং গাজর-টমেটো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এতদিন ৭৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বর্তমানে ৭৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পামতেল। খোলা সয়াবিন ৭ টাকা বেড়ে ১৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া এতদিন ১১৮ টাকা লিটারে বিক্রি হওয়া পামতেল এখন ১৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে প্রতিকেজি খোলা আটা ৩৬, প্যাকেটজাত আটা ৫০, প্যাকেটজাত ময়দা ৫২ থেকে ৫৫ এবং ১১০ টাকা কেজিতে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি রসুন ৫০, আমদানি রসুন ১২০ ও দেশি আদা ১শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া প্রতিকেজি রুই-কাতল-শিং-টাকি ২৫০ থেকে ৩শ’, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ১৫০, চিংড়ি ৬শ’ ও বড় সাইজের ইলিশ ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top