চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
নাসিমা আক্তার নিশা। পারিবারিক সূত্রে ঢাকার বনানীতে জন্ম এবং সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। তিনি একজন অতি সাধারণ মেয়ে। ফয়সাল আহমেদ নামে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু করোনাকালে তার স্বামী মারা যান। এসময় তিনি একা হয়ে পড়েন। অবসন্নতা তাকে ঘিরে ধরেছিল। ২০১৭ সালে তিনি নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করতে ‘’উই’’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আইসিটি সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। একসময় তিনি এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ ও ফিফো টেকের সিইও তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক আরও গাঢ করেন নিশা। তাদের হাত ধরেই চলে যান স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলকের কাছে। একসময় তিনি পলকের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। কথিত আছে রুপ লাবণ্য দিয়েই নিশা পলকের এতো বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন যে যারা তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তারাই ততোটাই নয়।
উইম্যান এণ্ড ই-কমার্স ট্রাষ্টের প্রেসিডেন্ট নিশা পলক গ্যাংয়ের একজন হয়ে ওঠেন। সারাদেশে সংগঠনের শাখা খুলেন। উই হয়ে নিশার ধনী হওয়া সিড়ি। অভিযোগ দেশের সব জেলায় প্রতিনিধি ও সহ-প্রতিনিধি এবং মডারেটর নিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও সরকারি অর্থায়নে অনুষ্ঠান করে প্রশিক্ষণের নামে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন নিশা। এবার বান্ধবীর স্বামীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে প্রকাশ্যে আসে নিশার সব অপকর্ম।
এমনকি নিশার বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করে উদ্যোক্তারা।
সামিট ২০২৪
নাসিমা আক্তার নিশা প্রতিবছর উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা ঘটানোর নামে ঢাকায় একটি সামিট আয়োজন করে থাকেন। এই সামিটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য তার জেলা প্রতিনিধিরা প্রচার-প্রচারণা করে থাকেন। গেল সামিটে সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকে জনপ্রতি দেড় হাজার টাকা ও নন-সাবস্ক্রাইকারদের কাছ থেকে নেওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা করে। তবে এই বছরের সামিটে সাবস্ক্রাইবারদের দিতে হয়েছে ১ হাজার আর নন-সাবস্ক্রাইবারদের দে হাজার টাকা। এছাড়াও খাবার ও উদ্যোক্তাদের সাথে কেউ গেলে তাদের বেলায় নেওয়া হয়েছে দেড় হাজার টাকা করে। সামিটের জন্য বিশেষ শাড়ি বরাদ্দ দিতে বাধ্য করা হয়। সেই শাড়ি বাবদ নেওয়া হয় আরও ২ হাজার টাকা করে।
নিশারই তথ্য মতে চলতি বছরের অক্টোবরে হতে চলা সামিটে ১৪০০ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। সেই হিসেবে খাবারের টাকাসহ আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকারও বেশি জমা হয়েছে নিশার ব্যাংক হিসাবে।
তবে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠেছে, ঢাকায় আয়োজিত সামিটের ভেন্যুর ভাড়া, ক্রেষ্ট, খাবার খরচ, ডেকোরেশন, লাইটংসহ সকল খরচ মিটানো হতো সরকারি অনুদান ও বেসরকারি স্পন্সরদের টাকায়। তবে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ কি করতেন নিশা সেই প্রশ্নই এখন সামনে এসেছে।
উই এর সদস্য আয়শা আক্তার নামে একজন উদ্যোক্তা বলেন, এই সামিটে আমাদেরকে নেওয়া হতো বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদানের আশ্বাসে। শুধু যে রেজিস্ট্রেশন করেই শেষ তা নয়। একেক জন উদ্যোক্তার খরচ পড়তো ৫-৬ হাজার টাকা। কিন্তু সে অনুপাতে কোন লাভই নেই। ফিডব্যাক না থাকলে গিয়ে লাভ কি? যারা একবার যেত তারা পরের বার আর যেতো না। আবার অনেককে নানা ধরণের টোপ দেওয়া হতো। তিনি আরও বলেন, সামিটে সব খরচ নেওয়া হতো পলকের কাছ থেকে। পলক দিতো সরকারের ফান্ড থেকে। আর শতশত স্পন্সর নিতো সে। এভাবে ক্রেষ্ট ব্যবসা করতো সে।
ক্ষুব্ধ এই উদ্যোক্তা বলেন, একজন উদ্যোক্তা যে কয় টাকা আয় করতো তার বড় অংশই নিশা হাতিয়ে নিতো নানারকম অনুদানের কথা বলে, সনদ দেওয়ার কথা বলে, ঋণ পাইয়ে দেওয়া কথহা বলে। সে উদ্যোক্তাদের ঘাম ঝরা টাকায় আলিশান স্টাইলে চলাফেরা করতো।
এখন আমরা প্রতিবাদ করছি বলে তার প্রতিনিধিরা হুমকি দিচ্ছে আমাদের।
উই নারীদের মধ্যেই বৈষম্যঃ
সারাদেশে ১৪ লক্ষ সদস্য রয়েছে এই সংগঠনের। এদেরকে দুইভাগে বিভক্ত করেন নিশা। সাবস্ক্রাইবার ও নন-সাবস্ক্রাইবার। যারা
সাবস্ক্রাইবার হতেন তাদেরকে পরিশোধ করতে হয় ৩০৬০ টাকা। আবার প্রতিবছর সেটি রিনিউ করতে হয় ৮০ শতাংশ টাকা দিয়ে। অন্যথায় ওই পদ বাতিল বলে গণ্য হয়। যারা সাবস্ক্রাইবার তাদেরকে সংগঠনে আলাদা চোখে দেখা হয়। আর নন-সাবস্ক্রাইবারদের বঞ্চিত রাখা হয়।
আয়শা আক্তার বলেন, আমি অনেক বছর নন-সাবস্ক্রাইবার হয়ে কাজ করেছিলাম। দেখলাম কোন পাত্তাই নেই। প্রতিদিনই চাপ দেওয়া হতো সাবস্ক্রাইবার হতে। আসলে সীমাবদ্ধতার এই সংসারে একসঙ্গে এতো টাকা দেওয়া কষ্টকর। শেষমেষ হলাম, কিন্ত লাভ জিরো। তিনি বলেন, হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে সারাদেশে। এই খাতে থেকেই নিশার আয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
নিশার সাথে অনলাইনে কথা বলতেই ২৭০ টাকাঃ
করবী সেন নামে চট্টগ্রামের একজন উদ্যোক্তা বলেন, সাবস্ক্রাইবার হওয়ার জন্য নানারকম লাভের কথা বলা হলেও আসলে কোন লাভই নেই। শুধু নিশার গ্রুপে পোষ্ট করা যেত আর পোষ্টে নিজের পেইজের নামে মেনশন দিতে পারতো। শেষের দিকে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা ছাড়া আর কোর লাভ আছে বলে আমার মনে হয়না। তিনি আরও বলেন, নিশা চট্টগ্রামে অনেকজনকে মডারেটর করে রেখেছে। এরাই টাকাগুলো উত্তোলন করে তাকে পাঠাতো। তাদের একজন ফেরদৌস আপা। ওনাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম আপু আমি ৫ বছর ধরে আছি, সাবস্ক্রাইবার হলাম। কোন অনুদানতো পেলাম না। কেন পেলাম না? কারা পায় তাহলে? তিনি বললেন, আপনি খোলা জানালায় রেজিস্ট্রেশন করেন। তাহলে নিশা আপুকে সব জিজ্ঞেস করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু সেখানেও তার সাথে অনলাইনে কথা বলার জন্য ২৭০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হতো। এটার কোন মানে হতে পারে না। সে ৫ মিনিটের জন্য এসে চলে যেতো। বলতো আমার ফ্লাইট আছে।
মাষ্টারক্লাসের নামে টাকা আত্মসাৎঃ
জোনায়েদ আহমেদ পলকের আর্শীবাদে উইকে সরকারি নিবন্ধনভুক্ত ট্রাষ্টে রূপ দেন নাসিমা আক্তার নিশা। এতে নারীদের আস্থা বাড়ে এই সংগঠনের প্রতি। সরকারিভাবে উইকে এলআইসিটি নামে একটি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। সিরিজ ১,২,৩ আকারে প্রায় ৩৬টি ক্লাসে কমপক্ষে ৩৬ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলো জানা গেছে। তবে এসব ক্লাস সম্পূর্ণ সরকারি খরচে হলেও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রতি ক্লাসে জনপ্রতি ৬১০ টাকা করে নিতেন নিশা। সেই হিসাবে এই মাস্টারক্লাসেই নিশা হাতিয়ে নিয়েছেন ২ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক নিজেও লাইভে এসে বলেছেন মাস্টারক্লাসের খরচ সরকার বহন করে এলআইসিটি প্রকল্প থেকে।
এছাড়াও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের মাধ্যমে আইডিয়া নামে আরও প্রকল্প দেওয়া হয় নিশার সংগঠনকে। এই প্রকল্পে ২ হাজার উদ্যোক্তা ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান পেয়েছে। এর মধ্যে উই’ সংগঠনেরই আছে ১২০০ জন। অভিযোগ আছে, দেশে অসংখ্য নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন, সমিতি, ফোরাম, এসোসিয়েশন, ট্রাষ্ট, চেম্বার থাকলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিশার সংগঠন উইকেই দেওয়া হতো সব অনুদান, প্রশিক্ষণ। অথচ নিশা সেসব প্রচার না করে টাকা হাতিয়ে নিতো। অনুদানের জন্য বাচাই করতো নিজস্ব সব লোকজনকে। জনশ্রুতি আছে যে পলকের এক পলকেই নিশা পেতেন প্রোগ্রামের ভেন্যু, অনুদান, খাবার সবকিছু। অবস্থা এমন যে নিশার প্রোগ্রামকে বাস্তবায়ন করতে পলকই পরিশ্রম করতেন বেশি।
সুলতানা আক্তার নামে একজন উদ্যোক্তা বলেন, ৫০ হাজার টাকা করে একটি অনুদান দেওয়ার কথা বলে অনেককেই রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল। যারা নিশার ভাওতাবাজি ফেস্ট, অনলাইন, অফলাইন মিটআপে যোগ দিতো তাদেরকেই অনুদানের জন্য যোগ্য মনে করা হতো। কিন্তু শেষমেষ সেখানেও অনেকে বাদ পড়তো। তবে ৫০ হাজার টাকা সরকার দিলেও নিশা কেটে নিতেন ১৩ হাজার টাকা। উদ্যোক্তাদেরকে ওয়েবসাইটে বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকাগুলো সে হাতিয়ে নিয়েছে। কাউকে কাউকে কোন ওয়েবসাইট দেওয়া হয়নি। এছাড়াও যারা ৫০ হাজার টাকা অনুদান পেতো তাদেরকে স্টল বুকিং, ফেষ্ট অনুষ্ঠানে স্পন্সর হতে বাধ্য করতো। ঘুরেফিরে নিশার পকেটেই যেতো সেই টাকা।
সুলতানা রাজিয়া নামে আরেকজন বলেন, ওয়েবসাইটের কথা বলে নাসিমা আক্তার নিশা সরাসরি তার হিসাবেই ১৩ হাজার টাকা কেটে নিয়েছেন অনুদানের ৫০ হাজার টাকা থেকে। আমরা বলেছিলাম আমাদের ওয়েবসাইটের দরকার নেই। তখন তিনি বলেছিলেন, যাদের ওয়েবসাইটের দরকার নেই তাদের অনুদানের টাকারও দরকার নেই। তিনি আরও বলেন, জোর করে করে সাবস্ক্রাইবার রিনিউ করাতেন নিশা।
এদিকে নিশার হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত চাইছেন চট্টগ্রামের নারী উদ্যোক্তারা। নুসরাত, রেশমা খাতুন, রোজিনার মতো অসংখ্য নারী চট্টগ্রামের প্রতিনিধি আসমা আক্তার ও সহ-প্রতিনিধি ইসরাতের কাছে তাদের সাবস্ক্রাইবার, সামিটের টাকা ফেরত চাচ্ছেন। সকাল সন্ধ্যা তাদের গ্রুপে চলছে তর্ক-বিতর্ক। বর্তমানে উদ্যোক্তাদের চাপের মুখে টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন টাকা ফেরত দেয়নি নিশা।
চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা সানজিদা আফরোজ বলেন, সরকারি টাকায় এলআইসিটি প্রকল্পে মাষ্টাক্লাসে কোন খাবার নেই, হলভাড়া নেই, খাতা-কলম নেই, কোন খরচ নেই, কিন্তু প্রতি ক্লাসে ৬১০ টাকা করে নিতেন নিশা। আমি ২৯ টি ক্লাসে পরিশোধ করেছি প্রায় ১৮ হাজার টাকা। যদি ১ লক্ষ লোক এটি করে থাকে তাহলে হিসাব করেন কত টাকা নিশা হাতিয়ে নিয়েছে বোকা বানিয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ২০, ৩০ হাজার টাকা বহু টাকা স্পন্সর করেছি। এগুলোতে পরিচিতি অর্জন ছাড়া কোন লাভই হয়নি। সরকারের কাছ থেকে নিশা উল্টো টাকা পেত। অথচ উদ্যোক্তাদের গলা কেটে সে টাকা নিয়েছে।
বান্ধবীর স্বামীর সাথে পরকীয়াঃ
সর্বশেষ নিশার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শেখ লিমার এক পোষ্টে আলোচনায় ওঠে আসেন নিশা। লিমা অভিযোগ করে তার ফেসবুকে লিখেছেন, নিশার বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি রক্তাক্ত। ২০১৯ সালেও তিনি একটি মেসেজ নিশার ভাই-বোন ও তার স্বামী সাকিবকে দিয়েছিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মেয়ের কথা ভেবে সেসময় বিষয়টি তিনি প্রকাশ্যে আনেননি। এবার মেয়ের অনুরোধই পোষ্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, নাসিমা আক্তার নিশা ও তার স্বামী কবির সাকিবের অবৈধ সম্পর্ক শুরু কয়েক বছর আগেই। নিশার স্বামীও সেসময জীবিত ছিল। কিন্তু বিশ্বাস ভেঙে যাবে বলে, বন্ধুত্ব নষ্ট হবে বলে সন্দেহ করেননি। করোনাকালে মেয়ে এনায়ার কাছে ভাইভারে চ্যাট করার সময় ধরা পড়ে সাকিব। তিনি লিখেন, উইয়ে তিনি নিশার সঙ্গে কাজ করতেন। তিনি চুটিয়ে প্রেম করার জন্য সংগঠন থেকে লিমাকে সরিয়ে দেয় নিশা। ৫-৬ মাস আগেও তারা ভুল স্বীকার করে নেয় আর করবে না বলে অঙ্গিকার করে। একসঙ্গে বিদেশেও ঘুরে তারা।
লিমা তার পোষ্টে একটি স্ক্রিনশর্ট যুক্ত করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, নিশা লিমাকে লিখেছেন, প্লিজ শেয়ার করিস না, আমি মারা যাব। প্লিজ, তোর কাছে ভিক্ষা চাচ্ছি। প্লিজ আমার এতো বড় ক্ষতি করিস না। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছি, কিন্তু পারিনি। একইভাবে লিমার স্বামী কবির সাবিকও তার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে এবং বাসায় এসে কথা বলতে বলে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উই এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, আমরা সামান্য কিছু ছাড় পেতাম ভেন্যুর জন্য। আমরা কোন টাকা মেরে খাইনি। একটা সংগঠন চালাতে অনেক টাকা খরচ হয়। সাবস্ক্রাইকার হওয়ার বদৌলতে উদ্যোক্তারা ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট করতে পারতো। প্রশিক্ষণের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। বান্ধবীর স্বামী কবির সাকিবের সাথে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা। আমাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। তবে লিমার পোস্টে দেওয়া স্ক্রিনশর্টের বিষয়টি খোলাসা করেননি তিনি। একই কথা তিন দিন আগে একটি পোষ্টেও লিখেছেন তিনি। যদিও টকিপসটি কি তা তিনি জানাননি।
উদ্যোক্তারা বলছেন, নিশা যদি ধোয়া তুলসী পাতা হতো সবকিছু খোলাসা করতো। এখনও তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতেও সাহস করছেন না। একইভাবে সাকিবও বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। তারা বেশিরভাগ মানুষকে আনফ্রেন্ড ও ব্লক করে দিচ্ছে।