সীতাকুণ্ড বার্তা প্রতিনিধি
এস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি সরাতে গিয়ে ‘আমও গেল ছালাও গেল’ দক্ষিণ জেলা বিএনপির তিন নেতার। কমিটি ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও কর্ণফুলী বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়ার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্র।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর সই করা পৃথক আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে পৃথক আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণের এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাসুফিয়ানগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা এখনো চিঠি পাননি বলে জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে কালুরঘাট শিল্প এলাকার মীর গ্রুপের মালিকানাধীন ওয়্যারহাউস থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও কর্ণফুলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়ার শেল্টারে এস আলমের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার তড়িঘড়ি করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির তরফে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার ফিরিস্তি দেন নেতারা৷ তাদের দাবি, এস আলমের গাড়ি সরাতে নয়, বরং বিএনপির নামে চাঁদা দাবি ঠেকাতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। গণমাধ্যমের সামনে তাদের এ দাবির মুখেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্র, লিখিত জবাব নিয়ে তাদের তলব করা হয়। ওই শোকজ নোটিশে দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে প্রকাশিত ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা দলের প্রতি আদর্শিক অঙ্গীকার ভঙ্গের শামিল। এ কৃত অপকর্ম দলের নেতাকর্মীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এস আলমের গাড়িতে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের। গত বুধবারের ঘটনা এটি। সাম্প্রতিক সময়ে এটি প্রকাশ্যে এসেছে