মোঃ জয়নাল আবেদীন: সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন মো. আসলাম চৌধুরীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানানোর সময় আওয়ামী দোসর হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত ) আসহাব উদ্দীন খালেদকে ( খোকন) বিএনপিতে যোগদানের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস দিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুরাদপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আবুল কাশেম।এই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুরাদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গতকাল ৬ এপ্রিল রবিবার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন মসজিদের সামনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার দায়ে মোঃ আবুল কাশেম, পিতা-মৃত বাদশা মিয়া, মোঃ জসীম উদ্দিন ভুঁইয়া, পিতা- মৃত সালেহ আহম্মদ ভুঁইয়া বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সীতাকুণ্ড উপজেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় দলীয় পদ পদবী হতে অব্যহতি দেয়া হয়।
মুরাদপুর ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি মোঃ আকবর ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার কামাল এর এক স্বাক্ষরিত প্যাডে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত সাবেক মেম্বার সভাপতি মোঃ এছহাক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম শিমুলকে দায়িত্ব পালনে দলীয় সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, আওয়ামী দোসর হিসেবে চিহ্নিত আসহাব উদ্দীন খালেদ ( প্রফেসর) কে আসলাম চৌধুরীর কাছে নিয়ে গেছেন আবুল কাশেম ও জসীম উদ্দিন।আর এই ঘটনার জেরে আমাদের নেতা আসলাম চৌধুরীকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।এতে আমাদের নেতা আসলাম চৌধুরীর কোন ভুল নেই।হয়তো তিনি এই দোসর সম্পর্কে জানেন না। কিন্তু যারা জেনেও তাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তক্রমে তাদের পদ পদবী হতে অব্যহতি দিয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী দোসর আসহাব উদ্দীন খালেদ (প্রফেসর) বিএনপি জামায়াতের নেতাদের সু কৌশলে নির্যাতন করেছেন।তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।সে বিএনপি-জামায়াত সহ গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে গ্রামে থাকতে দেয়নি।এছাড়া গ্রামের মানুষদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করেছে।সে কার আশ্রয়ে বিএনপিতে যোগ দেয়।যারা তাকে সমর্থন করছে তারাও দালাল এবং লোভী।এসব আওয়ামী লীগের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে হবে।টাকা খেয়ে কেন তাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন।সবশেষে বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।কেননা আওয়ামী দোসরকে দলে যোগদানের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করেছেন।
