সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসজুড়ে কর্মচারীর বেশে দালাল চক্র

শস্যের ভিতরে ভূত থাকলে, ভূত তাড়াবে কে’ এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি অফিসজুড়ে। অফিস সহকারীদের নিজস্ব দালালদের দাপটে রীতিমত অতিষ্ঠ সেবা গ্রহীতারা। অঘোষিত কর্মচারী নামের দালালদের সাথে দেনদরবারে পদে পদে চলে ভোগান্তি। ঘুষ দিলে সমস্যার সমাধান, নয়তো ফাইল গায়েব। ঘুষ বাণিজ্য চালাতে দালালদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে অফিস সহকারীদের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অফিস সহকারীদের সহকারী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ভূমি অফিসে কাজ করছে আজগর, জুয়েল, সালা উদ্দিন, ফরুকসহ কয়েকজন দালাল। টেবিল-চেয়ারে বসে অফিসের কাজে নিয়োজিত থেকে হয়ে উঠেছেন অঘোষিত কর্মচারী। এসব অবৈধ কর্মচারীদের সাথে দেনদরবার না সারলে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা বলেন, অফিস কর্মচারী না হয়ে অফিসের ভেতরে বসে বৈধ কর্মচারীদের সহযোগী হয়ে নিয়মিত কাজ করছে কয়েকজন দালাল। অফিসে গেলে প্রথমে তথাকথিত কর্মচারীদের সাথে সারতে হবে অবৈধ লেনদেন। লেনদেন সারতে না পারলে ফাইল বন্ধি হয়ে পড়ে থাকবে। এভাবে বছরের পর বছর ধরে সরকারী অফিসে অবৈধ সহকারীরা নিয়োজিত থাকলেও দেখার কেউ নেই। বৈধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে অবৈধদের দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূমি অফিসে ঘুষের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে, ভূমি অফিসের বদৌলতে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠেছেন অবৈধ সহযোগীরা। কর্মচারী না হয়েও ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে বাড়ি-গাড়ি ও ডিয়ার ফুড নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছেন ভূমি অফিসের অবৈধ কর্মচারী ফারুক হোসেন। তবে সরকারিভাবে বেতন না থাকায় সাধারণ লোকজনের দেয়া সন্মানি ভাতাতে সংসারের ভরণ-পোষণ চালান বলে জানান ভূমি অফিসের অবৈধ সহকারী ফারুক।

এভাবে উপজেলা ভূমি অফিসে অবৈধ কর্মচারীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলতে থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, সেবা প্রদানের জন্য যে কেউ সহযোগিতা করতে পারে। কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া উল্লেখিত নামের ব্যক্তিগণ অফিসে আছে কিনা তা জানা নেই বলে জানান তিনি।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *