সীতাকুণ্ডে হামলা করতে গিয়ে পাল্টা হামলায় যুবক নিহত

নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিরোধের জেরে এক যুবককে মারতে তার বাড়িতে হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে মুরাদ হোসেন (২৮) নামক এক বখাটে। রবিবার রাত ৯টায় চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত মুরাদ সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সৈয়দপুর গ্রামের মীর বাড়ির আলী হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, নানান অপকর্মের হোতা মুরাদ সব সময় এলাকায় নিজের আধিপাত্য বিস্তারের চেষ্টা করত। সম্প্রতি তার এক প্রতিবেশী একই গ্রামের তসলিম উদ্দিন মিঠুর ছেলে মিনহাজ উদ্দিন পায়েলের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মুরাদ ও তার বাহিনী গ্রামের পথে পায়েলকে একা পেয়েই লাঠিসোটা দিয়ে পেটাতে শুরু করে। হামলায় আহত হয়ে পায়েল পালিয়ে নিজ ঘরে আত্মগোপন করে। কিন্তু বখাটে মুরাদ ও তার দলবল তার ঘরে প্রবেশ করেও পায়েলকে মারধরের চেষ্টা করলে তার মা-বাবা বাধা দেয়।

এসময় মুরাদ প্যান্টের বেল্ট খুলে পায়েলের মা-বাবাকেও পেটাতে শুরু করে। এতে পায়েল ক্রোধে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মুরাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মুরাদ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে মুরাদের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে চট্টগ্রামের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালেও গত দুই দিনে তার জ্ঞান ফেরেনি।

আজ রবিবার দুপুরেই ডাক্তাররা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেথ ঘোষণা করেন। রাত ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম নিজামী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুরাদ এলাকায় কুখ্যাত যুবক হিসেবে পরিচিত। তার দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করত সে। বিরোধের জেরে সে গত শুক্রবার এলাকায় ভদ্র হিসেবে পরিচিত পায়েলকে দফায় দফায় মারে। শেষে পায়েল পালিয়ে গেলে তার বাড়ি গিয়ে হামলা করে এবং তার বাবা-মাকে মারধর শুরু করলে পায়েল হাতের কাছে যা পেয়েছে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মুরাদকে কুপিয়ে দেয়। দুদিন পর আজ রবিবার সে হাসপাতালে মারা যায়।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারী মুরাদ খারাপ প্রকৃতির যুবক। তবে ঘটনার দিন তার পরিবার পায়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। এখন সেটিকে হত্যা মামলায় রুপান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *