সংসদে গিয়ে যা করবেন সীতাকুন্ডের এস এম আল মামুন

 সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২৪

সংসদে গিয়ে যা করবেন সীতাকুন্ডের মামুন

চিকিৎসা সেবা, কর্মসংস্থান, পর্যটন উন্নয়ন, যোগাযোগ, মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখা, তীর্থস্থান উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা, ফায়ার স্টেশন স্থাপন ইত্যাদির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্রগ্রাম ৪ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম আল মামুন। 

এ ছাড়া নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারলে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে গোল টেবিল আয়োজনের মাধ্যমে জণগনের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ১০০ দিন, পরবর্তী ৬ মাস, ১ বছর, ৩ বছর ও ৫ বছরের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।

ট্রমা সেন্টার স্থাপন 

ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত অনেক রোগী মহাসড়কের পাশে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলেও ট্রমা সেন্টার না থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। বেশিরভাগ সময় মারাত্মক আহত রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পথে মৃত্যু হয়। বিজয়ী হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রমা সেন্টার স্থাপনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন এসএম আল মামুন।

কর্মসংস্থান ও পর্যটন উন্নয়ন

সীতাকুণ্ডে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় চার শত শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় যোগ্যতা অনুসারে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। মীরসরাই ইকোনোমিক জোনকে সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ও মুরাদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে। সেখানেও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

এ ছাড়া গুলিয়াখালী সী-বিচ, বাশঁবাড়িয়া সী-বিচ, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক, সহস্রধারা ঝর্ণা ও রাবার ড্যাম, চন্দ্রনাথ পাহাড়সহ উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান পর্যটন বান্ধব করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে পর্যটন উন্নয়নের পাশাপাশি এসব স্থানে লাখো যুবকের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছেন তিনি।

যোগাযোগ উন্নয়ন ও যানজট নিরসন

বন্দর নগরী চট্রগ্রামের প্রবেশমুখ হওয়ায় সীতাকুণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ার পরও নির্দিষ্ট কোন যানবাহন না থাকায় এখানকার মানুষের চট্টগ্রাম শহর কিংবা অন্যান্য কর্মস্থানে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন অথবা ননস্টপ বাস সার্ভিস চালু করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোর কারণে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। সড়কটি যানজট মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

তীর্থস্থানের জাতীয় স্বীকৃতি ও কৃষি উন্নয়ন

চন্দ্রনাথ ধামে অবস্থিত হিন্দুদের প্রাচীনতম তীর্থস্থানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উন্নয়নে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া চন্দ্রনাথ ধাম পর্যন্ত ক্যাবল কার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপজেলার কৃষি প্রধান ইউনিয়ন হিসাবে পরিচিত সৈয়দপুর ও বারৈয়াঢালা ইউনিয়নকে মডেল কৃষি জোন করা হবে। কৃষকরা কষ্ট করে পণ্য উৎপাদন করলেও সংরক্ষণের অভাবে অনেক পণ্য পঁচে যায়। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষনের জন্য হিমাগার স্থাপন করা হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়ন

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা নিরসন ও মানোন্নয়নের জন্য করণীয় নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া গতানুগতিকতার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে। যেমন যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি ও প্রশিক্ষণ শেষে কমৃসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা দেওয়া হবে।

ফায়ার স্টেশন স্থাপন

বিএমডিপো দুর্ঘটনার মতো যেকোন বড় ধরণের দুর্ঘটনা প্রতিারোধে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। বাড়বকুণ্ড শিল্প এলাকায় আলাদা ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *