দিনে রেকি রাতে চুরি, দেশে বাইক চুরির বড় চক্র চট্টগ্রামেই

কারো বাড়ি চট্টগ্রাম, কারো কুমিল্লা। একেক জনের বাড়ি একেক জেলায় হলেও তাদের পেশা মোটরসাইকেল চুরি করা! নির্বিঘ্নে এ কাজ চালিয়ে যেতে দেশজুড়ে তৈরি করে নিয়েছে শক্তিশালী চক্র। চুরি থেকে শুরু করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি-অবলীলায় সামাল দিত এ চক্রটি। চট্টগ্রামের হালিশহর, সীতাকুণ্ড ও কুমিল্লার দু’টি এলাকায় টানা তিন দিনের অভিযান শেষে এমন সন্ধান পায় পুলিশ। এরই মধ্যে জালে ধরা পড়ে চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্য।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের হালিশহরে লাখ টাকার চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে দুইজনের কাছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে সেখানে অভিযান চালায় হালিশহর পুলিশ। কিন্তু তারা ধরার পরই বেরিয়ে আসে দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী চক্রটির চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় মোট নয়টি চোরাই মোটরসাইকেল।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চক্রের পাঁচ সদস্য হলো— হালিশহর এলাকার আবদুছ ছাত্তারের ছেলে মো. আলমগীর (৩৭), মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. মান্নান (৩৫), চৌদ্দগ্রাম এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. বাবুল মিয়া এবং সীতাকুণ্ডের আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল মালেক ওরফে সোহাগ (২৫)।

হলিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, চক্রটির সক্রিয় সদস্যদের ধরতে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিনদিন অভিযান চালায় পুলিশ। এতে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আলমগীর ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে ৩টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় মান্নানকে। একই সময়ে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের জালে ধরা পড়ে বাবলু মিয়া। সবশেষ ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে আরও একটি মোটরসাইকেলসহ সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোহাগকে।

হালিশহর থানা পুলিশের এস আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চক্রের সদস্যরা দিনে রেকি করে রাতে চুরি করতো। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *