সীতাকুণ্ড পৌরসদরে এক সিকিউরিটি গার্ড করোনা আক্রান্ত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।এই নিয়ে জেলা উপজেলা,গ্রামে গঞ্জে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সচেতন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক ব্যাংক সিকিউরিটি গার্ড করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা নুর উদ্দিন রাশেদ তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।তার শরীরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ৬ টি বাড়ি ও তিনটি দোকান লকডাউন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসদর বাজারের গোডাউন রোডের কবির মঞ্জিলে পরিবার নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। আক্রান্ত ব্যক্তি আনোয়ার হোসেন ঢাকার নারায়নগঞ্জে কমার্স ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন।গত ৬ এপ্রিল তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে সীতাকুণ্ড আসেন। বাসায় আসার পর অসুস্থ অনুভব করায় বুধবার সকালে তিনি নিজে রিকশাযোগে সীতাকুণ্ড সরকারী হাসপাতালে গিয়ে তার করোনা পরিক্ষার নমুনা দিয়ে আসেন।রাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সারাদিনে সংগ্রহ করে নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট প্রদান করলে দেখা যায় এই ব্যাংক সিকিউরিটি গার্ডের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।ফলে পুরো সীতাকুণ্ডে জনমনে আতংক বিরাজ সৃষ্টি হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুর উদ্দিন রাশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমরা আজ পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম।এর মধ্যে মধ্যবয়সী ওই ব্যাংক কর্মীর করোনা পজিটিভ এসেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, লোকটির আসলবাড়ি সন্দীপ উপজেলায়।তার পরিবার নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৌরসদরের ৩নং ওয়ার্ড কবির মঞ্জিলে ভাড়া থাকতেন।আমরা রাতে তার করোনা ধরা পড়ার খবর পেয়ে বাড়িতে এসে চারপাশ ঘিরে রেখেছি।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রয় বলেন, লোকটির করোনা আক্রান্ত হবার খবর শুনে আমি পুলিশ , স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নিয়ে তার বাড়ি ও আশেপাশের ৬ টি বাড়ি ও ৩ টি দোকান লকডাউন করেছি।তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইউএনও মিল্টন রয় আরো বলেন, সবাই সতর্ক ও নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করুন।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন,
সীতাকুণ্ড পৌরসদরে করোনা ভাইরাস এর রোগী পাওয়া গিয়েছে। এটা নিয়ে সবাইকে আতংকিত দেখছি। আপনাদের কে বলতে চাই, আতংকিত হবেন না। কিন্তু সাবধান হন। যিনি করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত তিনি ইচ্ছা করে আক্রান্ত হন নি। তিনি আমাদের কারো ভাই, বন্ধু, বাবা অথবা প্রতিবেশী। দেশের জন্য, ব্যাংকের জন্য কাজ করতে গিয়ে হয়তো আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা যদি লক ডাউন মেনে চলি, আমরা যদি উনার এবং উনার পরিবারের কোরানটিন নিশ্চিত করতে পারি তা হলে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারবো।
উনাকে আর উনার পরিবারকে খারাপ ভাষায় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। তাঁদের পাশে দাঁড়ান। তাঁদের কে সাহস দিন। বুঝান , করোনা থেকে বেশিরভাগ লোকই সুস্থ হয়। আর করোনা আপনার, আমার যে কারো হতে পারে।
এই বিপদে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াবো, এই কামনা রইলো। আল্লাহ আমাদের সহায়।