ব্যাংক কর্মকর্তার নেতৃত্বে রাজধানীতে গড়ে উঠেছে নতুন প্রতারক চক্র। তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে তিনটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব থেকে আরটিজিএস এর মাধ্যমে বিশ কোটি টাকা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছে চক্রটি।
সম্প্রতি এ চক্রের দশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছে, এখন পর্যন্ত কোনো অর্থ তুলেছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশপাশি চলছে চক্রের পলাতক সদস্যদের আটক অভিযান।
গেলো বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর মতিঝিলের ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করছেন দুই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর টাকা না তুলেই চলে যায় তারা।
একই সময় রামপুরা ব্রাঞ্চেও দুই ব্যক্তিকে দেখা যায় টাকা তোলার চেষ্টা করতে। ব্যর্থ হয়ে চলে যান তারাও।
পরদিন রামপুরা থানায় মামলা করে যমুনা বিল্ডার্স। মামলায় বলা হয়, তাদের পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার অর্থাত আরটিজিএস আবেদনের মাধ্যমে ১ কোটি ষাট লাখ টাকা তোলার চেষ্টা করে চার ব্যক্তি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের অবগত করে বিষয়টি ।
২৫ জানুয়ারি একই কায়দায় ওয়ালটন গ্রুপের সাড়ে ৬ কোটি টাকা তোলার চেষ্টার অভিযোগ আসে ভাটারা থানায়। তদন্তে সামনে আসে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার ব্যবস্থাপক জাকির হোসেনের নাম। তখন জাকিরসহ গ্রেপ্তার করা হয় দশ জনকে।
এদিকে ইউনাইটেড গ্রুপের হিসাব থেকেও বার কোটি টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলো এ চক্রটি। এ নিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় বিশ কোটি টাকা সরানোর প্রমাণ পায় পুলিশ।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, জাকিরই মূলত ঘটনার হোতা। ব্যাংক চাকরির সুবাদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করে চক্রের সদস্যদের দিয়ে স্বাক্ষর জাল করাতো জাকির। পরে আরটিজিএস আবেদন করে বড় অঙ্কের টাকা তোলার চেষ্টা করতো।
এ ঘটনায় রামপুরা থানার মামলায় দশ আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি রোববার।