প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড
১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর আর দেখা হয়নি দুদলের। ৩০ বছর আগের ওই সুখস্মৃতি নিয়ে আজ আবারও নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান। তবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের লড়াইয়ে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) প্রথম সেমিফাইনালে নামছে দুই দল। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় খেলা শুরু হবে ম্যাচটি।
ক্রাইস্টচার্চ থেকে সিডনি, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ভেন্যু বদলেছে বদলায়নি প্রতিপক্ষ। রোড টু সেমিফাইনালে বিপরীতমুখি দুদল। যেখানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কিউইরা। সেখানে অনেকটা ভাগ্য সঙ্গী পাকিস্তানের। তবে অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চান না ব্ল্যাকক্যাপ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমাদের দারুণ একটা দল আছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবতে চাই না। আমার মনে হয় দুদল সেমির লড়াই নিয়েই ভাবছে।
সেমির আগে নির্ভার থাকতে অনুশীলন করেনি পাকিস্তান। রোলার কোস্টারের মতো একটি বিশ্বকাপ পার করছে বাবর আজম। তবে কোচ ম্যাথুউ হেইডেনের বিশ্বাস, ফর্মে ফিরবেন পাক অধিনায়ক। আর ত্রিদেশীয় সিরিজের শ্রেষ্ঠত্ব বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
পাকিস্তান কোচ ম্যাথু হেইডেন বলেন, এই মুহূর্তে বাবর-রিজওয়ান সেরা ওপেনিং কম্বিনেশন। আশা করি তারা তাদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে। মোহাম্মদ হারিসকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। সে টেকনিক্যালি দারুণ।
বাবর-রিজওয়ানদের ব্যর্থতার আসরে কিছুটা উজ্জল পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। যেখানে লিড করছেন ইফতেখার আহমেদ। যদিও পাঁচ ম্যাচে রান মাত্র ১১৪। সেদিক থেকে এগিয়ে কিউই ব্যাটার গ্লেন ফিলিপস। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের সঙ্গে এসসিজিতে পাক বোলারদের ভয় ধরাতে প্রস্তুত ডেভন কনওয়ে।
শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফদের নিয়ে গড়া পাকিস্তান পেস অ্যাটাকে আভিজাত্য থাকলেও সেরা বোলার শাদাব খান। স্পিনারের নামের পাশে ১০ উইকেট। শুধু বোল নয় ব্যাটিংয়েও আলো ছড়াচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। বিপরীতে বয়সকে হার মানিয়ে এখনো গতি আর সুইয়ে ব্যাটারদের পরাস্ত করছেন ট্রেন্ট বোল্ট। টিম সাউদি তার সঙ্গী।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডও যে এবারের বিশ্বকাপে সেরা দলের একটি, তারা সেটা তারা প্রমাণ করেছে। যদিও গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে ম্যাচ হেরেছিলো তারা। সকল পজিশনে সামর্থ্যবান ক্রিকেটার রয়েছে তাদের।
তবে আসরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড দুদলের জন্যই সৌভাগ্যের। এখানে অপরাজেয় দুদল। তবে এবার যে কোন একদল হাসবে শেষ হাসি।