আর মাত্র ৯ দিনের অপেক্ষা। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ। কাতারে ২০ নভেম্বর থেকে গ্রুপ পর্বের প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর। এরই মধ্যে আসন্ন এ বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করে দিয়েছে ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। খেলা মানেই বিনোদনের সঙ্গে রয়েছে অর্থের ঝনঝনানি। আর বিশ্বকাপ মানেই টাকার খেলা! ধনকুবেরের দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে নজরকাড়া বিশাল আয়োজন থাকছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে নাম লেখানো শুধু মর্যাদারই নয়, বরং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে এখানে। প্রথম আসর থেকে শুরু করে প্রতিবারই বেড়েছে অর্থের পরিমাণ। যার ব্যতিক্রম হচ্ছে না কাতার বিশ্বকাপেও। বরং এ আসরে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি নিয়ে হাজির বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলের জন্য প্রাইজমানি নেই। তবে শেষ ১৬ নিশ্চিত করা দলগুলো বিপুল অঙ্কের টাকা পাবে প্রাইজমানি হিসেবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমান। চলুন জেনে নেয়া যাক, এবারের আসরের শেষ ১৬ থেকে শুরু করে শিরোপাজয়ী দল কে কত করে টাকা পাবে।
গ্রুপপর্ব শেষ করে নকআউট পর্বের প্রথম ধাপ শেষ ষোলো। এখানে জিতলে শেষ আট; আর হারলেই ফেরতে হবে বাড়ি। তবে বাড়ি ফেরার আগে শেষ ১৬ নিশ্চিত করা ৮ দলের প্রত্যেকে পাবে ১১.৭ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৪ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে।
এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব থেকে বিদায় নেয়া চার দলের প্রত্যেকে বাড়ি ফিরবে ১৫.৪০ মিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬৩ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার টাকা নিয়ে। এছাড়া, তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া দল যথাক্রমে দেশে ফিরবে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা ও ২৪০ কোটি টাকা নিয়ে।
আর মূল আকর্ষণ শিরোপাজয়ী দল বিশ্বকাপ ঘরে তোলার পাশাপাশি ৩৮ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে বাড়ি ফিরবে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪০৪ কোটি ২৪ লাখেরও বেশি। আর রানার্স আপ দল পাবে ২৭.২৭ মিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯০ কোটি টাকার মতো।