সীতাকুণ্ডে আগুন নেভানোর কাজে সেনাবাহিনী, তদন্ত কমিটি

সীতাকুণ্ডে আগুন নেভানোর কাজে সেনাবাহিনী, তদন্ত কমিটি

সীতাকুণ্ড ছোট কুমির এলাকায় তুলার গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট। 

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট কাজ শুরু করে। 

এর আগে সকাল দশটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলে প্রথমে সীতাকুণ্ড ও কুমিরা সার্ভিস অফিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ স্টেশন থেকে আরো পাঁচটি ইউনিট তাদের সাথে যোগ দেয়।

সে সময় ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, তুলার গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এবং পানির সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঠিক কত সময় লাগবে তার কোন স্পষ্ট ধারণা দিতে পারছিলেন না ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনের সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোঃ ফখরুজ্জামান।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। 

তদন্ত কমিটিতে যাদের রাখা হবে— স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক বদিউল আলম, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর একজন কর্মকর্তা, কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের একজন ডিআইজি, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ সীতাকুণ্ড মডেল থানা, বিটিএমসির একজন প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি ও বিটিএমইএর একজন প্রতিনিধি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে রবিবার থেকে কাজ শুরু করতে ও আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০ টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় একটি তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শুকনো তুলায় আগুন ছড়িয়ে পড়া ও পানির তীব্র সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হলে রাত এগারোটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজে যোগ দেয়।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *