সীতাকুণ্ডের শিল্পীরা ভালো নেই-বাউলা সুজন

শুভ শীল:-

করোনার আঘাতে গোটা বিশ্ব তথা পুরো বাংলাদেশ জর্জরিত। মানুষ এক অজানা রোগের ভয়ে প্রকম্পিত। লোকডাউনের কবলে বেকার হয়ে পড়েছিলো জনজীবন। সব কিছু সাভাবিক হলেও ভালো নেই সীতাকুণ্ডের সকল শ্রেণীর শিল্পীরা। তাদের কথা ভাবারও সময় নেই কারোরই।

এমনি একজন বাউল শিল্পী সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের সুজন।যাকে সবাই বাউলা সুজন নামেই চিনে।তার সাথে সীতাকুণ্ড বার্তার একান্ত আলাপচারিতায় ফুটে উঠে তার নিরব কান্নার ভাষা।তিনি বলেন

আসলে কি বলব, আমরা অনেক ব্যাথিত। আমাদের ব্যাথাগুলো কেউ বোঝে না। সবাই মনে করে সুখে আছি গান করি নাম সুনাম রয়েছে ভালো পোশাক পড়ছি ভালো ব্যাবহার করছি,, এই সময়ে যে কস্টে পার করছি কেউ জিজ্ঞেস ও করে না কিভাবে চলছি। গান বাজনা তো নাই এখন,কি বলব ভাই জীবনে কত মানুষের ফ্রি প্রোগ্রাম করেছি আজ এই দুর্দিনে কেউ এক মিনিট কল দিয়ে ও জিজ্ঞেস করলো না,,আমরা মুখ ফূটে বলতে পারি না, জানেনই তো শিল্পীরা একটু আত্ব অহংকারী হয়,এই জন্যই আমি আমার গানে লিখছি “হাত তালি দেয় গান শুনিয়া খবর রাখে না, কি সুখে যায় গানওয়ালার দিন কেউ তা জানে না” এই কথা গুলো তুলে ধরেছি, মানুষ আরো বলে আপনাদের এত এত টাকা দিই তারপরও কেনো কস্টে থাকেন? আমি সে জন্যই তুলে ধরেছি, “ভাবছো এত কষ্ট কিসের? অনেক টাকা দাও, গানের টাকায় গান শুনায় সেটা জেনে নাও,,নইলে নতুন গান কোত্থেকে পাও বল জনগন”, আর একটা কথা আমরা শুধু একজন না আমাদের সাথে যারা বাজায় তাদের ও পেট আছে তারা বাচতে হবে,তাই আমি বলছি “একি সাথে চলি মোরা শিল্পী মিউজিশিয়ান, গানের সাথে বাজায় বাদ্য বাড়ায় গানের মান” গান বাজনা কে সম্বল করে চলছে সংসার জীবন সেটাও এখন বন্ধের পথে কি করি এখন,, পরিশেষে বলব আমরা অনেক অবহেলিত,” প্রয়োজন ফুরালে আর খবর থাকে না,,শিপ্লী মিউজিসিয়ান দের কথা গুলো তুলে ধরেছি,আমি মনে করি এই গান টা সবার শুনা উচিৎ।সুজন বলেন গান টা বানিয়ে ছিলাম কোরবানের ঈদের সময় খুব একটা পয়সা পাতি ছিলো না তার পর ও অনেক কষ্ট করে বানিয়েছি যে দিন ফাইনাল ভয়েস আর ভিডিও স্যুট করতেছলাম সে দিন খুব বৃষ্টি ছিল, কিন্ত এত কষ্ট করে ও রিলিজ করতে পারিনি সময় মত, কোম্পানীগুলো ও সহজে নিতে চায়নি, তাই অনেক অপেক্ষার পর নিজের ব্যাক্তিগত চ্যানেলে রিলিজ করলাম।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *