নগর থেকে সীতাকুণ্ড যাত্রী ভোগান্তি চরমে

  •  মো. জয়নাল আবেদীন, সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম

    অনিয়ম যখন নিয়মে পরিণত হয় তখন কিছুই বলার থাকে না। বছরের পর বছর ধরে সীতাকুণ্ডের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। গেইটলক (কোথাও থামবে না)এর কথা বলে ২৫ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা দরে যাত্রী উঠানো এবং এবং সেই কথা না রেখে পথে পথে থেমে থেমে যাত্রী উঠানো, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী উঠিয়ে বিরম্বনা ও দুর্ভোগের সৃষ্টি, প্রতিবাদে কর্ণপাত না করা, যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার, কাছের ভাড়া অতিরিক্ত ইত্যাদি নানান কারণে অসহনীয় দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম নগর ও চট্টগ্রাম নগর থেকে সীতাকুণ্ডগামী যাত্রীরা প্রতিনিয়ত এই দুর্ভোগের শিকার হলেও সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। সকালে ও বিকেলে অফিসগামী/ফেরত যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার জন্য পরিবহন সংকট সৃষ্টি, সন্ধ্যা নামলে অতিরিক্ত ভাড়ায় আদায় নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার পাশাপাশি চালক-হেলপারদের দুর্য্পবহারে অসহায় যাত্রীরা।
    শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার সময় সীতাকুণ্ড থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত যাতায়াতকারী মিনিবাসে (চাকা- চট্টমেট্রো জ ১১-২১৮৩) যাতায়াতকারী একযাত্রী জানান, সীতাকুণ্ড থেকে যাত্রী উঠানোর পর হেলপার বলে পথে ঘাটে যাত্রী নেওয়া হবে না। তাই উঠা-নামা ৪০ টাকা দিতে হবে। এই বলে হেলপার যাত্রীদের কাছ থেকে মূল ভাড়ার অতিরিক্ত ১৫ টাকা বাড়তি নিয়ে গাড়ি ছাড়ে। কিন্তু দেখা যায় তারা অলংকার মোড়ে যেতে যেতে পথে পথে তারা যাত্রী ওঠায়। এরকম মিথ্যাচার করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় যাত্রীরা প্রতিবাদ জানান। কিন্তু হেলপার-চালক এর কোনো তোয়াক্কাই করেনি।
    সীতাকুণ্ডের যাত্রীদের অভিযোগ, এইসব গাড়ি যদি সরাসরি সীতাকুণ্ড থেকে অলংকার যায়, তাহলে এই পথের বিভিন্ন স্থানে যে যাত্রীরা থাকে তারা কিভাবে তাদের গন্তব্যে যাবে? এর আগে অনলাইন সংবাদমাধ্যম দৈনিক চট্টগ্রাম এ ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে নিউজ করার পর সচেতন হয়ে উঠে যাত্রীরা। প্রশাসনের এই বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
    এভাবে যাত্রীদের হয়রানি করা, অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া, খারাপ ব্যবহার করা এবং বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করলে এই অঞ্চলের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়ে যাবে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *