সীতাকুণ্ডে শিক্ষিকা গৃহবধুর নির্যাতনে শশুর বাড়ি ছাড়া

সীতাকুণ্ড বার্তা;

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে উম্মে সালমা নিপা নামে এক স্কুল শিক্ষিকার নির্যাতনে শশুর বাড়ি ছাড়া হয়েছে। তিনি উপজেলার মুরাদপুর গোপ্তাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুন্ড সার্কেল শর্ম্মা রানী সাহা অভিযোগের ভিত্তিতে নিজেই উপস্থিত হয়ে শশুর আবদুল মোতালেব (৮২)কে নিজ ঘরে বসবাসের সুযোগ করে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায়, সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম. সেকান্দর হোসাইন, সাংবাদিক নাছির উদ্দিন অনিক , জাহেদুল আনোয়ার চৌধুরী ও সীতাকুন্ড থানার উপ-পরিদর্শক মো.হারুনূর রশিদ।

জানা যায়, উপজেলার বাড়বকুন্ড শুকলালহাট উত্তর মাহমুদাবাদ এলাকার আবদুল মোতালেব গালফ্রা হাবিব লিমিটেড এ চাকুরি সুবাধে নিজেই বসবতঘরের জন্য জায়গা ক্রয় পরবর্তী এক তলা একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। কিন্তু কালের পরিক্রমা আবদূল মোতালেব পুত্র-কন্যাদের বিয়ে দিয়ে বয়স্ক হয়ে পড়েন। বসতঘরে গৃহবধূরা আসার পর ছেলেদের সাথে শুরু হয় পিতার দূরত্ব।

এরপর থাকা ও খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট। পরে বাধ্য হয়ে আবদুল মোতালেব দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পরপর ঘরে থাকা শিক্ষিকা গৃহবধু ও ছেলেরা মিলে শশুরকে নিজ ঘর থেকে বের করে দেন। অসহায় বয়স্ক শশুর বাধ্য হয়ে থানার স্বরনাপন্ন হন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সীতাকুন্ড সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শর্ম্মা রানী সাহা ঘটনাস্থলে যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করতেই ঘরে থাকা গৃহবধু শিক্ষিকা উম্মে সালমা নিপা রাগান্তিত হয়ে বলেন, আমি আপনাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। ঘটনার আসল রুপ উদঘাটন শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পরে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শর্ম্মা রানী সাহা বলেন, “একজন শিক্ষিকার কাছ থেকে আমিও একজন সরকারি চাকরিজীবি হিসেবে এ ধরনের আচরণ মেনে নিতে পারছি না। ৮২ বছরের একজন বয়স্ক লোক, যার নামে বাড়ি ও দোকানপাঠ। কিন্তু তিনি থাকেন ভাড়া ঘরে। এটা কি মানা যায়। আমি চেষ্টা করেছি, উনাকে উনার সঠিক আশ্রয়স্থানে ফিরিয়ে দিতে।”

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন,“যেটা বয়স্ক আবদুল মোতালেবের সাথে উনার ছেলে ও ছেলের বউরা করেছে, এটা খুবই অমানবিক। তারপর ঘটনার পর আমি বসে একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে আসছি, যদি উনারা মানে ভাল।”


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *