সীতাকুণ্ডে ধর্ষনবিরোধী মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা

মোঃ জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:দিন দিন বাংলাদেশে ধর্ষণ বেড়েই চলেছে।শিশু, নারী এবং বৃদ্ধ বয়সের মহিলারা ও  আজকাল নিরাপদ নন।এমন কঠিন সময় অতিক্রম করছে যেখানে নারীরা নিজের ঘরেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজের ঘর থেকে শুরু করে স্কুল প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, কর্মস্থলে এবং গণপরিবহনে নারীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মর্ধ্যযুগের বর্বরতাকে হার মানায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে থাকে। কিছু কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,চ্যানেল এবং পত্রিকায় আসলেও কিছু ঘটনা সামাজিক গন্ডির মধ্যে রয়ে যায়।এরি মধ্যে সম্প্রতি নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে গোপনাঙ্গে বার বার আঘাত হানে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ধর্ষণ চেষ্টায় নারীর প্রতি এই পশুসুলভ আচরণ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে দিয়েছে বিরাট ধাক্কা।নারীর প্রতি অমানুষিক নির্যাতন ও নিজের ফেসবুক একাউন্টে আপলোড দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি দেখার পর নেটজনতা ও সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।সেই ধারাবাহিকতায়
আজ ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায়  সীতাকুণ্ড উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সচেতন নারী শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ বিরোধী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনটি উপজেলা শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে পরবর্তীতে সীতাকুণ্ড কলেজ রোড সম্মুখে অবস্থান নেন।এসময় স্কুল কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিদিন ধর্ষণের মত জঘন্য ঘটনা ঘটে চলেছে। নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়। আমরা ঘর থেকে বের হতে ভয় পায় কেননা স্বাধীন বাংলাদেশে সেই একাত্তরের রাজাকারেরা আবারো ধর্ষনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।ধর্ষন এদেশে যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। অনেক সময় দেখা যায় ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।আমরা এর প্রতিকার চাই। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আমাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমাদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সূযোগ দিতে হবে। আমরা সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমাদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।