জনদুর্ভোগের আরেক নাম মুরাদপুর হাসনাবাদ ঢালিপাড়া সড়ক: সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর

মোঃ জয়নাল আবেদীন, সীতাকুণ্ড বার্তা প্রতিনিধি:

সড়ক নয় যেন চাষের জমি।সড়ক বললে ভুল বলা হবে। যেসব জমি চাষের জন্য ব্যবহার হয় সেসব জমির ও এমন নাজুক প্রকৃতির নয়।এমন একটি সড়ক যেখানে এলাকাবাসীর হাঁটু পরিমাণ কাদা নিয়ে হাঁটতে হয়।সড়কের বেহাল দশা কিন্তু সেখানকার জনপ্রতিনিধির চুপ থাকা চরম লজ্জার বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের সংস্কার করার দাবি জানিয়ে আসলেও নেই কোন সাড়াশব্দ।

এই সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা দৈনন্দিন চলাচল করে থাকেন। বিশেষ করে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।কাদাময় এই সড়কটি চাষের জমির জন্য হয়তো ব্যবহার যোগ্য নয় এমন একটি সড়কে চলাচল করছে এই এলাকার বাসিন্দারা।যে কোন মুহুর্তে পা পিছলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে এটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ ৫ নং ওয়ার্ডস্থ ঢালিপাড়া সড়ক। সীতাকুণ্ড উপজেলা একটি স্বনামধন্য উপজেলা কিন্তু উক্ত উপজেলার এই ইউনিয়নের সড়কের কোন সংস্কার করার চিন্তা ভাবনা নেই এমন ভাব জনপ্রতিনিধির।যেন চোখ থাকিতে অন্ধ এই প্রবাদ বাক্যের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক কাদার রাজ্যে চলে যায়।আর সড়ক হয়ে যায় অভিভাবকহীন। শিশু কিশোর ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষের জন্য একেবারে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে সড়কটি। বিকল্প সড়ক না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন এই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষেরা। দীর্ঘ এক যুগ পার হলেও এই সড়কের কোন সংস্কার করা হয়নি বলে জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতা আর অবহেলাকে দায় করছেন সাধারণ মানুষ।

এলাকাবাসীর এই বিষয়ে জানান, আমাদের গ্রামের মুল রাস্তার খুবই নাজুক অবস্থা। রাস্তার মধ্যে হাঁটু সমান কাদা আমাদের হাঁটা চলা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমরা খুব কষ্ট ভোগ করছি। কিন্তু রাস্তাটির নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কোন নজরদারী নেই।সড়কটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই ?
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমরা।

স্থানীয় মেম্বার মোঃ আকবর হোসেন বলেন, হাসনাবাদ ঢালিপাড়া সড়কটির বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থা।এটি দিয়ে হাজারো মানুষ চলাফেরা করে কিন্তু কাদার কারণে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।এলাকার মানুষ এই রাস্তা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।রাস্তাটি দ্রুত যেন সংস্কার করা হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি বলে জানান তিনি।