ছলিমপুরের সন্ত্রাসী আস্তানায় র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির পার ৫ জন গ্রেফতার

সীতাকুণ্ড জঙ্গল ছলিমপুরে টিন সেটের ছোট্ট খুপড়িতে আস্তানা গেড়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল মশিউর বাহিনী। অভিযানের প্রস্তুতি নিলে ভেতর থেকে শিবলুর নেতৃত্বে গুলি করতে থাকে র‌্যাবের ওপর। র‌্যাবও পাল্টা ১২৯ রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় র‌্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হলেও ধৈর্যের সাথে অভিযান চালিয়ে সেই আস্তানা থেকে ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুরে রাত সাড়ে ৯ টা থেকে গভীররাত পর্যন্ত টানা এ অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব ৭

অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— রফিকুল ইসলাম মালু (৪১) , মো. সিরাজুল ইসলাম (৩৪), মো. হাসান (৩৫), জামাল শেখ (৪৭) ও মিজানুর রহমান কদর।

এ সময় বিভিন্ন স্থান ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ১০টি দেশীয় ও ১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি ধারালো ছোরাসহ ২২ রাউন্ড গুলি এবং তাদের আস্তানা থেকে মিলিটারি গেজেট, মিলিটারি পোশাক, মিলিটারি বাইনোকোলার ও অবৈধ ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

জঙ্গল সলিমপুরে সন্ত্রাসীদের ডেরায় র‌্যাবের হানা, থেমে থেমে চলছে গুলি


র‌্যাব-৭ জানায়, সীতাকুণ্ড থানার ছিন্নমূল জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় শিবলুর সেমিপাকা টিনসেট ঘরে মশিউর ও তার সঙ্গীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এসময় আস্তানার ভেতর থেকে হামলায় র‌্যাবের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পরে কৌশলে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি, সরকারি জমি প্লট আকারে লোকজনের কাছে বিক্রয় করে টাকা আদায় করত। সে এলাকায় বসবাসরত গরিব লোকদের সরকারি বিদ্যুতের মিটারের পরিবর্তে মশিউরের নিজ মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করে সরকারি মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুত বিল আদায় করতো। এছাড়াও এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও নিজেদের অপরাধকর্ম চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে মশিউর ও তার ছেলে শিবলু একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘ছলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার কর হয়। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম মালু (৪১)’র বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় ১টি মামলা রয়েছে এবং সে এলাকায় মালু নামে পরিচিত। এছাড়া মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫টি, মো. হাসান (৩৫)’র বিরুদ্ধে ৭ টি, জামাল শেখ (৪৭) এর বিরুদ্ধে ১০টি এবং মিজানুর রহমান কদরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টিরও অধিক মামলা রয়েছে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *