গ্যাস নেই, খাবার মিলেনি হোটেলেও

 

গ্যাস নেই, খাবার মিলেনি হোটেলেও

যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহন কম। তেল চালিত গণপরিবহন দেখলেই উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। হোটেলগুলোতে খাবার নেই। খাবার মিললেও দাম ছিল বেশি । কোথাও কোথাও বেশি টাকায়ও মিলছে না খাবার। 

শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লাইনের গ্যাস বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাউজানে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় সিএনজি চালিত যানবাহন চলাচলে নেমে আসে স্থবিরতা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা। গ্যাস না পাওয়ার অজুহাতে গাড়ির ভাড়া বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে  স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে তিন থেকে চারগুন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি। এ কারণে তেল চালিত গণ পরিবহনগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। 

অন্যদিকে গ্যাসের প্রভাব পড়ছে খাবার হোটেলগুলোতেও। রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাহামুদুল হাসান বলেন, রাউজান থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে যাওয়ার জন্য রিজার্ভ করতে গেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক বলেন, ১৫শ টাকা লাগবে। ৬০০ টাকা ভাড়া হলেও দরকষাকষিতে ১৩শ টাকা পর্যন্ত নামেন তিনি। বাজেটের বাইরে থাকায় গণপরিবহন বেছে নেন তিনি।

আবুল হাসেম নামে এক ব্যক্তি মুন্সির ঘাটা থেকে গহিরা যেতে চাইলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ভাড়া হাকান জনপ্রতি ৫০ টাকা, স্বাভাবিক ভাড়া মাত্র ১৫টাকা। পরে তিনি একটি বাসে উঠে পড়েন, ১০ টাকায় গন্তব্যে পৌছান। 
নোয়াপাড়া থেকে বিশেষ কাজে মুন্সিরঘাটা এসেছিলেন আবদুর রহিম। দুপুরের খাবার খেতে যান হোটেলে। গ্যাস না থাকায় রান্না করা সম্ভব হয়নি বলে তাকে ফিরিয়ে দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। 

পেট্রোবাংলার  কোম্পানি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (রুটিন দায়িত্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *