ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী গাড়ির ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে নতুন করে আরও একটি ওজন মাপার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। একই উপজেলার বড় দারোগাহাটে একটি ওজন পরিমাপক যন্ত্র আগে থেকেই রয়েছে। সেটা থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে নতুনটি বসানোর প্রাথমিক কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী পণ্যবাহী যানের দুই দফায় ওজন যাচাইয়ের বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমনকি স্থানীয় লোকজন যন্ত্র বসানোর জায়গায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরুর প্রতিবাদে সভা-সমাবেশ করছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, সারা দেশে মহাসড়কে ২২টি ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে নতুন যন্ত্রটি বসানো হবে। এ জন্য নির্ধারিত জায়গায় প্রথমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। পাশাপাশি দরপত্রের মাধ্যমে যন্ত্রটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বেশি পণ্যবাহী গাড়ি আসা-যাওয়া করে। চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে এই মহাসড়ক দিয়ে আমদানি পণ্য সারা দেশে নেওয়া হয়। আবার চট্টগ্রামের ভারী শিল্পকারখানার উৎপাদিত পণ্যও সারা দেশে নেওয়া হয় এই মহাসড়ক ব্যবহার করে। সীতাকুণ্ডের বড় দারোগাহাটে ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানোর পর থেকে নির্ধারিত সীমার বেশি পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। আগে ছয় চাকার গাড়িতে ১৬-১৮ টন পণ্য পরিবহন হতো। ওজন যন্ত্র চালু হওয়ার পর এসব গাড়িতে বর্তমানে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করা যায় না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা আন্দোলন কর্মসূচিও পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যদি নতুন করে ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসাতে হয়, তাহলে দেশের সব মহাসড়কে তা বসাতে হবে। শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একের পর এক ওজন যন্ত্র স্থাপন করা হলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, বড় দারোগাহাটের ওজন যন্ত্রটি মহাসড়কে চলাচলরত গাড়ির ওজন পরিমাপ করবে। কিন্তু ফৌজদারহাটে নতুন করে যেটি বসানো হবে, সেটি কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন দিকের গাড়ির ওজন পরিমাপে ব্যবহার করা হবে।
এদিকে ওজন যন্ত্র বসাতে সড়কের জায়গা থেকে স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, শিগগিরই ওজন যন্ত্রটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। সড়কের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ- প্রথম আলো