শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬ রান। ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তুলেছেন ৭৪ রান, ব্যাট করছিলেন শেষতক। ফ্লেচারকে অবশ্য আউট করার প্রয়োজন হয়নি চট্টগ্রামের। মেহেদি হাসান মিরাজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে তাকে দর্শক বানিয়েই ৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ জয়ের ফলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চলে গিয়েছে দলটি।
হারলেই বিদায় নিশ্চিত, এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৪৪ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কল্যাণে স্কোর বোর্ডে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ১৯০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে আগের ম্যাচের মতোই ধ্বংসাত্মক ছিলেন ফ্লেচার।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকে খুলনা। শেখ মেহেদী হাসান ২ ও সৌম্য সরকার ১ রান করে বিদায় নিলেও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার পথ হারাতে দেননি দলকে। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে গড়েন ৬৪ রানের পার্টনারশিপ।
২৯ বলে ৪৩ রান করে একটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকানো মুশফিক বিদায় নিলে ফ্লেচার পান ইয়াসিরের সঙ্গ। তবে জয়ের আশা জাগিয়ে ২৪ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির, তার আগে হাঁকান দুটি চার ও চারটি ছক্কা।
ইয়াসিরের বিদায়ের পর খেই হারিয়ে ফেলা খুলনা আর জিততে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান দাঁড়ায় ফ্লেচারদের সংগ্রহ। ৫৮ বলের মোকাবেলায় ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। ৪ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন থিসারা পেরেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৮৯/৫ (২০ ওভার), ওয়ালটন ৮৯*, লুইস ৩৯, মিরাজ ৩৬, খালেদ ৪০/২ নাবিল ১৫/১
খুলনা টাইগার্সে : ১৮২/৫ (২০ ওভার), ফ্লেচার ৮০*, ইয়াসির ৪৫, মুশফিক ৪৩, নাসুম ২৪/১, মৃত্যুঞ্জয় ৩৪/১
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ রানে জয়ী।