বার্তাঃনিরীহ ফিলিস্তিনি জনগন ও আল আকসা মসজীদে নামাজরত মুসল্লীদের উপর সন্ত্রাসী ইসরাইলের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত, সীতাকুন্ড উপজেলার আয়োজনে ২১মে জুমার নামাজের পর ভাটিয়ারী স্মৃতি অম্লান চত্বরে এক বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
উক্ত মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনা, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, গাউসিয়া হাশেমিয়া কমিটি, আশেকানে তরুন পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠন, আশেপাশের মসজীদ এর খতিবগন ও মুসল্লিগন একাত্মতা ঘোষনা করে অংশ গ্রহন করেন।
মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন ও আলী আকবরের যৌথ সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত,সীতাকুন্ড এর সহ সভাপতি মাওলানা আবুল হাসান ওমাইর রজভী, সাধারণ সম্পাদক জনাব জহিরুল হক বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু কায়সার, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন সীতাকুন্ড ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা মুজিব উদ্দীন, সীতাকুন্ড গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খুরশীদুল আলম, সীতাকুন্ড যুবসেনার সভাপতি মুহাম্মদ আবু মূছা, সীতাকুন্ড ছাত্রসেনার সভাপতি তাওহিদুল আলম রিপন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ মোবারক হোসেন, মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, খায়রুল আজম, মাওলানা নসিম উদ্দীন, মাওলানা জসীম উদ্দীন মিয়াজী, মাওলানা আব্দুল খালেক, মনজুর ইলাহী, কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার রফিক,মুহাম্মদ আলাউদ্দীন, মঈনুদ্দীন হোসাইনী, ফারুক হোসেন, নুরুদ্দীন, মুশফিক ইলাহী সহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, অভিলম্বে ৫৭ টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সমন্বয়ে সামরিক বাহিনী গঠন করে সন্ত্রাসী ইসরাইলী বাহিনীকে সমুচিত জবাব দেওয়ার আহবান জানান, বক্তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জনিয়ে আহবান করেন যাতে তিনি অন্যান্য মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের একত্রিত করে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু ও বর্বর ইহুদিবাদি ইসরাইলী বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার ব্যাবস্থা করেন। এছাড়াও জাতিসংঘ থেকে ইসারাইলকে বহিষ্কার এর কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য ভেটো প্রয়োগকারী ৫ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
মানববন্ধন পরবর্তী এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিন শেষে নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সর্বশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচী সমাপ্ত হয়।